শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তিন কিমি সড়কে যত দুর্ভোগ

ভোগান্তিতে ১২ গ্রামের মানুষ, ঘটছে দুর্ঘটনা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

তিন কিমি সড়কে যত দুর্ভোগ

খানাখন্দে ভরা সড়ক নিজস্ব উদ্যোগে সংস্কারের চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা

বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মুনিগঞ্জ খেয়াঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ১২ গ্রামের মানুষ। খানাখন্দে ভরা এ সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। জানা যায়, উপজেলার সুলতানপুর, ভাতসালা, বানিয়াগাঁতি, তালেশ্বর, রথখোলা, কোন্ডলাসহ ১২ গ্রামের ২০ হাজার লোকের যাতায়তের প্রধান সড়ক এটি। ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন, করিমনে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। আবার নদীতে জোয়ার এলে রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। তখন ভয়ে অনেক পরিবার তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার করে স্থায়ী সমাধান করা হোক। সুলতানপুর ইজিবাইক ও অটোভ্যান সমবায় সমিতির সভাপতি ওবায়দুল শেখ বলেন, একাধিক জনপ্রতিনিধি কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। আমরা অতিদ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাই।’ ভ্যানচালক সোহেল শেখ জানান, সম্প্রতি জরুরি কাজে ভ্যান নিয়ে খেয়াঘাট যাচ্ছিলাম। পথে রাস্তার খাদে পড়ে ভ্যানটির ডান চাকা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এখন বেকার হয়ে বসে আছি।’ স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য ইব্রাহীম হোসেন নিজ উদ্যোগে স্থানীয় কিছু খেটে খাওয়া মানুষ নিয়ে ইট, বালি ফেলে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন। গত বছরও তিনি একইভাবে রাস্তাটি সংস্কার করেছিলেন। ইব্রাহীম হোসেন মোল্লা বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে চলাচলের কোনো অবস্থা নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে রাস্তার সংস্কার করা সম্ভব। উভয় দফতরে একাধিক অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও সুফল মেলেনি।’ বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগর জানান, তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভাবে এলাকার লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। আশা করছি আগামী শুকনা মৌসুমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংস্কার কাজ শুরু করতে পারব।

সর্বশেষ খবর