শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বগুড়ায় বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা

অনভিজ্ঞ চালক, ফিটনেসবিহীন মোটরযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় দিন দিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। সরকারি হিসাবে জেলায় গত এক বছরে সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৬ জন। আহত হয়েছেন ৯৩ জন। অনভিজ্ঞ চালক, ফিটনেসবিহীন মোটরযান বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বগুড়া বিআরটিএ কর্মকর্তারা জানান, জেলায় চলাচল করা প্রায় ২২ হাজার মোটরযানের মধ্যে ১০ হাজারেরই ফিটনেস নেই। ফিটনেস না থাকার পরও সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আনফিট এ সব মোটরযান।

বগুড়া বিআরটিএ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় কার, মাইক্রোবাস, বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ, অ্যাম্বুলেন্স মিলিয়ে যানবাহন রয়েছে ২১ হাজার ৯৩১টি। মোটরসাইকেল আছে প্রায় দেড় লাখ। ২০১৩ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোটরসাইকেলসহ নতুন করে ৪৬ হাজার ৬১০টি যান রেজিস্ট্রি হয়েছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেলই ৪১ হাজার ৪৯৮টি। জেলায় পেশাদার লাইসেন্স রয়েছে ২৭ হাজার ৫০০। ফিটনেস না থকাসহ বিভিন্ন কারণে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মামলা হয়েছে ১৯১টি। একই সময়ে ৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৬ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৯৩ জন।

জানা যায়, ফিটনেস সনদ নেওয়ার অন্যতম শর্ত যাববাহনের নির্মাণকালীন নকশা অক্ষত থাকা, ব্রেক, গিয়ার, প্রয়োজনীয় বাতি, চাকার সাইজ, গাড়ির রং, বাসের ভেতরের পরিবেশ ঠিক থাকা ও কালো ধোঁয়া বের না হওয়া। কিন্তু বগুড়ার অধিকাংশ যানবাহনের এই ফিটনেস নেই। আর ফিটনেস সনদ না নেওয়ায় লাখ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

বগুড়া বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক ফয়েজ আহম্মেদ জানান, সব মোটরযান মালিকদের ফিটনেস সনদ নিতে বলেছি। রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। চলতি অর্থবছরে ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় ২১ হাজার ৯৩১টি মোটরযানের মধ্যে ১০ হাজার ৪৪৪টির ফিটনেস সনদ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। জেলা ট্রাকমালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান জানান, আমরা প্রতিনিয়ত চালক-শ্রমিকদের সাবধানে চলাচল করতে বলি। সড়কের পাশে যেসব সরকারি দিক-নির্দেশনা রয়েছে তা-ও যেন মেনে চলে সে বিষয়ে বলা হয়। যদিও দুর্ঘটনা বলে আসে না।

সর্বশেষ খবর