শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঘর দিচ্ছে সরকার তা নিয়েও বাণিজ্য!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ঘর দেওয়ার কথা বলে এ টাকা হাতিয়ে নেয় দালাল চক্র। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের জন্য ইউএনওর অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দেয় সরকার। গত ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকলেও এর কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বলছেন, তালিকায় অসঙ্গতি, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের বদলিজনিত কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ১৭-১৮ অর্থবছরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ উপ-খাতের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ইউএনওদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দেয়। যাদের ১-১০ শতাংশ জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই বা ঘর থাকলেও তা বসবাসের অনুপযোগী তারাই এ প্রকল্পের উপকারভোগী হবেন। এমন তালিকাভুক্ত লক্ষ্মীপুর সদরে ৫৬৫, রামগঞ্জ ৪৭৬, রায়পুর ১৯৮, রামগতিতে ৩০২ ও কমলনগর উপজেলার ১৬২ জনের ঘর নির্মাণ বাবদ ১৬ কোটি তিন লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো স্মারক অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল উপজেলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স সভাপতি হিসেবে ইউএনওগণ এই অর্থের আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা ও তদারকিতে থাকবেন। ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু ওই প্রকল্পের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, ‘প্রকল্পে বিলম্ব ও স্থবিরতার কারণে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে গৃহহীনরা।’ এদিকে সরকারিভাবে ঘর নির্মাণের কথা বলে অধিকাংশ ইউনিয়নে দালালরা হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে ৫-১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপকারভোগী ও এলাকাবাসী। উপকারভোগীদের দাবি, ‘হয় আমাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক না হয় ঘর করে দিক। সদরের ইউএনও শাহজাহান আলী বলেন, ‘সরকারি টাকা গচ্ছিত আছে।’ কোথাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর