বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
শেরপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

তবুও বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

শেরপুর প্রতিনিধি

সকল অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকার পরও শেরপুরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েরা। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের খামখেয়ালিপনায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে-এমন অভিযোগ সেবা নিতে আসা লোকজন, অফিসের কর্মচারি ও শেরপুর পরিবার পরিকল্পনার ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালকের।

সরেজমিনে জানা যায়, অত্যাধুনিক সব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালটিতে দেড় বছর ধরে কোনো সিজারিয়ান অপারেশন হয়নি। দু-একটি স্বাভাবিক বাচ্চা প্রসবের মধ্যদিয়ে চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হয় না ওষুধ। শয্যাগুলো নোংরা ও জরাজীর্ণ। শৌচাগার, মেঝের অবস্থাও করুণ। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী-স্বজনের বসার নির্দিষ্ট স্থান নেই। অন্তঃসত্ত্বাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় একটি নির্দিষ্ট প্যাথলজিতে। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সরকারি একটি অ্যাম্বুলেন্স আছে। বিনা খরচে দূরের গর্ভবতী ও প্রসূতিদের আনা-নেওয়ার কথা থাকলেও বিগত ১২ বছরে কেউ অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাননি। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের একাধিক কর্মচারি জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রায় ছয় লাখ টাকার ওষুধ ও এমএসআর ক্রয়ের বরাদ্দ অর্থ ফেরত গেছে। অভিযোগ আছে, মোস্তাফিজুর রহমান এখানে যোগদানের পর থেকেই সরকারি বরাদ্দ নয়ছয় করে আসছেন। তার নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে হাসপাতালের কর্মচারিদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে এ সব অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। শেরপুর পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক ডা. পীযুষ চন্দ্র জানান, কেন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বরাদ্দ ফেরত গেল তার ব্যাখ্যা দুই বার চেয়েও পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘ডাক্তার মোস্তাফিজের নানা অনিয়ম নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত হয়, ফল হয় না।’

বেনাপোলে তিন বছরেও চালু হয়নি : বেনাপোল প্রতিনিধি জানান, যশোরের বেনাপোলে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি তিন বছর আগে নির্মিত হলেও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। এতে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছে বেনাপোল পোর্ট থানার আড়াই লাখ মানুষ। কর্মকর্তারা বলছে, দুই দফতরের টানাপড়েনের কারণে এর কার্যক্রম শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। জানা যায়, ২০১৩ সালে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে কাজ শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, বেনাপোল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ পরিবার পরিকল্পনা দফতরের কাছে হস্তান্তর না করায় কার্যক্রম শুরু করতে সময় লাগছে।

সর্বশেষ খবর