শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
মেহেরপুরের কমিউনিটি ক্লিনিক

চাকচিক্য থাকলেও বাড়েনি সেবার মান

মেহেরপুর প্রতিনিধি

চাকচিক্য থাকলেও বাড়েনি সেবার মান

কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা বৃদ্ধা

মেহেরপুরের বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিতরের পরিবেশ অত্যন্ত চাকচিক্য। তবে, বাড়েনি সেবার মান। ক্লিনিকগুলোতে রয়েছে চিকিৎসক সংকট। ওষুধের সরবারহও পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সেবার মান বাড়ানো হবে।

জানা যায়, এক যুগ আগে মেহেরপুর জেলার ১৮টি ইউনিয়নে ৭১টি কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হয়। তখন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু না করায় ভবনগুলো এতদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। জেলা পর্যায়ের হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা চালু করতে সম্প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে সংস্কার করা হয়। ঝকঝকে তকতকে করা হয়েছে এর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ। এলাকার লোকজন এখন যে কোনো রোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় কমিউনিটি ক্লিনিকমুখী হচ্ছেন। রোগীরা জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু হওয়ায় তারা খুশি। তবে চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত ওষুধ দরকার। চিকিৎসা নিতে আসা শফিয়া খাতুন বলেন, ‘ক্লিনিকের পরিবেশ সুন্দর কিন্তু ভাল ডাক্তার নেই। সব ধরনের ওষুধও পাওয়া যায় না। গর্ভবতী কেউ অসুস্থ হলে শহরেই ছুটতে হয়।’ ক্লিনিক তত্ত্বাবধায়ক শিউলি বেগম বলেন, ‘পরিবেশ সুন্দর হওয়ায় রোগী বাড়ছে। প্রতিদিন ৫০-১০০ জন রোগী আসে। তাদের প্রাথমিক সব চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল নেই’। মেহেরপুরের স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা  ডা. অলোক কুমার দাস বলেন, ‘চিকিৎসক দিলে গ্রামের গর্ভবর্তী মায়েদের আর কষ্ট করে শহরে যেতে হবে না। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এখন স্বাভাবিক বাচ্চা প্রসবের ব্যবস্থা রয়েছে। মানুষ গ্রামে বসেই স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব সমস্যা সমাধান করা হবে।’

সর্বশেষ খবর