জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে পাহাড়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে বেড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় দেখা দিয়েছে চাপা আতঙ্ক। অন্যদিকে পাহাড়ি অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রধারীদের ভোট ডাকাতির শঙ্কায় আছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে হামলা-মামলায় বিপর্যস্ত বিএনপি। তবে প্রশাসন বলছে, নির্বাচন ঘিরে সব সমস্যা নিরসনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতয়ান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

রাঙামাটি রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, ‘রাঙামাটির পরিস্থিতি নিরন্ত্রণে রয়েছে। তবুও সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত আছে। ভোটগ্রহণের দিন কোনো সহিংসতা সৃষ্টিকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেন্দ্রের ভিতরে-বাইরে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার দাবি জানিয়েছে রাঙামাটি বিএনপির প্রার্থী মনি স্বপন দেওয়ান। জেলা বিএনপি কার্যালয়ে গতকাল তিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেন, নির্বাচনের আগেই রাঙামাটিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেভাবে হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে তা নজিরবিহীন। রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে বিএনপি কর্মীশূন্য করার পরিকল্পনায়ও লিপ্ত রয়েছে একটি মহল। অন্যদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বাঘাইছড়ির আমতলী, বরকলের কুরকুটিছড়া, রিজার্ভ বাজারে তাদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, অগিসংযোগসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর উপর হামলা-নির্যাতন চালিয়েছে। এ সব অপকর্ম ঢাকা দেওয়া ও নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হীন উদ্দেশ্যে বিএনপি প্রার্থী ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন’। রাঙামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানান, নির্বাচন ঘিরে জেলায় তিনগুণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ নাশকতা করে পার পাবে না।