রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আলো ছড়াচ্ছে ‘মজার স্কুল’

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

আলো ছড়াচ্ছে ‘মজার স্কুল’

দিনাজপুরে মজার স্কুলে খুদে শিক্ষার্থীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঝরে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে আলো ছড়াচ্ছে ‘মজার স্কুল’। এ স্কুলে পাঠদান করেন হাজী দানেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) একদল শিক্ষার্থী। সুবিধাবঞ্চিত ও অযত্ন-অবহেলায় বেড়ে ওঠা শিশুদের জন্য কিছু করার প্রত্যয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ স্কুল গড়ে তুলেছেন তারা। ‘নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়া, মজার ছলে শেখাবো মোরা’ এই স্লোগান সামনে রেখে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর হাবিপ্রবির একঝাঁক তরুণের স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচালিত ‘মজার স্কুল’র যাত্রা শুরু হয়। স্কুল পরিচালনায় রয়েছে একটি কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কর্নাই, নন্দাপাড়া, হাজীপাড়া, শুভ্রা, মহাবলীপুর গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাই মজার স্কুলের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশে থাকা হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়েই অস্থায়ীভাবে চলছে মজার স্কুলের কার্যক্রম। এ স্কুলের সভাপতি ও শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ফাহিম জানান, হাবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদ ও বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচালিত হচ্ছে স্কুলটি। হাবিপ্রবি স্কুলে অস্থায়ীভাবে ক্লাস নেওয়া হয়। ওই স্কুল ছুটির পর মজার স্কুলের ক্লাস শুরু হয়। হাবিপ্রবির কিছু শিক্ষার্থী পকেট খরচ থেকে অর্থ বাঁচিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বই, খাতা, কলম ও টিফিনের ব্যবস্থা করছে। স্কুলটিতে শিক্ষক রয়েছেন ৪০ জন। এখানে শিশু থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১২০ শিক্ষার্থীকে পাঠদান দেওয়া হয়। সপ্তাহে ছয় দিন বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ক্লাস চলে। চিত্রাঙ্কন, নাটক, গান, মানসিক স্বাস্থ্য, ভালো ব্যবহার তথা শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য যা প্রয়োজন সব বিষয়েই আলোকপাত করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই নয়, মানসিক পরিশুদ্ধতার জন্য সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা এবং খেলাধুলার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। গত ৯ নভেম্বর মজার স্কুলের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ স্কুলে শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি অনেককে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। মজার স্কুলের যাত্রা শুরুর পর থেকে বিপাকে পড়েছে আশপাশের কোচিংগুলো সেন্টারগুলো।

সর্বশেষ খবর