বুধবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নানা সমস্যায় বেহাল নার্সিং ইনস্টিটিউট

জামালপুর

শফিক জামান, জামালপুর

জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় বেহাল দশা জামালপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের। দীর্ঘদিন ধরে এখানে চতুর্থ শ্রেণির কোনো কর্মচারি নেই। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের।

২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জামালপুর নার্সিং ইনস্টিটিউট। সম্ভাবনাময় এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নানা সমস্যা নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে। প্রতিষ্ঠানটিতে তিনটি ব্যাচে বর্তমানে অধ্যায়নরত আছে ১৪০ জন ছাত্রী। জামালপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে দারোয়ান, সুইপার এমএলএসএস, বাবুর্চি, মালিসহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারির নয়টি পদ থাকলে ১০ বছর ধরে সবকটিই শূন্য রয়েছে। চালুর পর প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি গাড়ি দেওয়া হলেও প্রায় এক দশকে পদায়ন করা হয়নি কোনো চালকের পদ। ফলে গ্যারেজে থেকেই নষ্ট হচ্ছে গাড়িটি। দারোয়ান না থাকায় ২৪ ঘণ্টা অরক্ষিত থাকে ইনস্টিটিউটের তিনটি গেট। এ কারণে ফলে নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন ছাত্রীরা। বাবুর্চি না থাকায় হলের রান্নার কাজে সহযোগিতা করতে হয় ছাত্রীদের। এতে বিঘ্ন ঘটে তাদের পড়ালেখায়। সুইপার না থাকায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অধিকাংশ টয়লেট। প্রতিষ্ঠানটিতে একজন হেডক্লার্ক, একজন অফিস সহকারী ও একজন ক্যাশিয়ার কর্মরত থাকলেও তারা অফিসে আসেন নিজেদের ইচ্ছামতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, এই তিনজন সপ্তাহের বেশিরভাগ সময় অফিসে অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন ঠিকই। তাদের হাতে অনেকটা জিম্মি প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে বিরোধের জেরে সম্প্রতি ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে প্রেষণে থাকা দারোয়ান সিরাজুল হককে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনাও ঘটে। এ বিষয়ে তদন্ত হলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জামালপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ রহিমা খাতুন জনবল সমস্যার কথা স্বীকার করলেও অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

সর্বশেষ খবর