শনিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্লট সংকটে বিনিয়োগ মন্দা

জয়পুরহাট বিসিক

মাজেদ রহমান, জয়পুরহাট

প্লট সংকটের কারণে জয়পুরহাট বিসিকে বিনিয়োগ করতে পারছেন না উদ্যোক্তারা। এ কারণে বিসিক শিল্পাঞ্চলে গড়ে উঠেছে না নতুন কোনো কল-কারখানা। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার তরুণ-তরুণীরা।

জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল হাকিম মন্ডল জানান, বিসিকে প্লট সংকটের কারণে অনেক উদ্যোক্তা শিল্প কারখানা করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ বিসিকের পাশে জমি নিয়ে কলকারখানা গড়ে তুলছেন। এতে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, জয়পুরহাটে আরেকটি বিসিক শিল্পনগরী করা হলে একদিকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, অন্যদিকে সচল থাকবে স্থানীয় অর্থনীতির চাকা।

জয়পুরহাট চেম্বার পরিচালক আনোয়ারুল হক আনু জানান, জেলায় শিল্প-কারখানা গড়ে না উঠার নানা কারণ রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো বিসিকে প্লট সমস্যা, গ্যাস না থাকা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছ থেকে চড়া মূল্যে সংযোগ নেওয়া ও বিল পরিশোধ করা। স্থানীয় ব্যবসায়ী সামস মতিন, আ. কাদের, আ. মোত্তালেব জানান, তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে ছোট ছোট শিল্পকারখানা তৈরি করতে চান কিন্তু বিসিকে প্লট না পাওয়ায় সম্ভব হচ্ছে না। আগে যারা শিল্প কারখানা তৈরি করছেন তাদের প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণের জন্যও আরো প্লট দরকার। বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) আকতারুল আলম চৌধুরী জানান, এখানে প্লটের অনেক চাহিদা রয়েছে। এই এলাকার অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক হওয়ায় পোল্ট্রি, হাস-মুরগি ও মাছের খাদ্য, জৈব্য সার ও ওষুধ কারখানাসহ ছোট-বড় প্রায় অর্ধশত কল-কারখানা রয়েছে। প্লটের অভাবে নতুন উদ্যোক্তারা শিল্প প্রতিষ্ঠান করতে পারছেন না। আমরা ইতোমধ্যে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কের বটতলী এলাকায় আরো একটি শিল্প নগরী গড়ে তোলা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছি। আরেকটি বিসিক শিল্পনগরী করা গেলে নতুন উদ্যোক্তারা যেমন কলকারখানা তৈরি করতে পারবেন তেমনি বেকারত্বও ঘুচবে। উল্লেখ্য, জয়পুরহাট শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে দাদড়া জন্তি গ্রাম এলাকায় ১৯৯৬ সালে ১১১টি প্লট তৈরি করে তা উদ্যোক্তাদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে ১১১টি প্লটে ৪৭টি শিল্প কারকাখানা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর