শিরোনাম
সোমবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
দলীয় প্রতিপক্ষের হামলা

ছাত্রলীগ নেতার বাবা নিহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের বাবা মইনুদ্দিন বিশ্বাস (৬০) নিহত হয়েছেন। রবিবার সকালে পুলিশের টহলের মধ্যেই উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মইনুদ্দিন ওই গ্রামের নতুন বাজার পাড়ার বাসিন্দা। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ ১৮ জনকে আটক করেছে। স্থানীয় সূত্র, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, পশ্চিম আব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  গোলাম মোস্তফার সঙ্গে একই ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলী হায়দার স্বপনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত শনিবার রাত থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল আলী হায়দারের নতুন বাজার পাড়ায় হামলা হবে। বিষয়টি পুুলিশও টের পায়। সারারাত পুলিশ গ্রামে টহল দেয়। মাঝে মাঝে বাঁশিও বাজায়। এরপরও রবিবার সকালে অতর্কিতে নতুন বাজার এলাকায় মাঠের ভিতর থেকে শতাধিক মানুষ বের হয়ে হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে সড়কে আসলে মইনুদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। মইনুদ্দিনকে কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মইনুদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার তার চাচা। গোলাম মোস্তফার লোকজন পরিকল্পিতবভাবে হামলা চালিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে।’

 তবে গোলাম মোস্তফার পুরাতন বাজার এলাকার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ওই পাড়ার বেশিরভাগ বাড়ির লোকজন পলাতক ছিল। লুটপাটের আশঙ্কায় অনেকে ভ্যানযোগে বাড়ির মালামাল পাশের গ্রামে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে মোস্তফাকে পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, বিবদমান দুটি পক্ষ আধিপত্য নিয়ে মামামারি করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় দুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল একটা আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণ হতে পারে। রবিবার ভোরে একটি পক্ষ হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযান চালিয়ে ১৮জনকে আটক করা হয়েছে। মূল যারা হত্যাকান্ডে  অংশ নিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা গেছে। অচিরেই তাদের ধরা হবে। এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর