সোমবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

আট কি.মি সড়কে লাখো মানুষের ভোগান্তি

শেরপুর প্রতিনিধি

আট কি.মি সড়কে লাখো মানুষের ভোগান্তি

ধুলাবালিতে একাকার সড়কের পাশের বসতবাড়ি

শেরপুরের শেখহাটি-গাজীরখামর আট দশমিক ৩১০ কিলোমিটার সড়ক এখন যন্ত্রণার নাম। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার লাখো মানুষ। সড়কটি সংস্কারে টেন্ডার হয়েছে, দু-চার আনা কাজও হয়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে। এই রাস্তাটি শেরপুরের সঙ্গে নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। রাস্তার দুই পাশে রয়েছে কয়েক হাজার বসতবাড়ি। জানা যায়, শেখহাটি-গাজীরখামর সড়ক মেরামতের জন্য ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি চার কোটি ৫৭ লাখ টাকা চুক্তিতে কাজ পায় একটি প্রতিষ্ঠান। টেন্ডার হওয়ার পর মূল ঠিকাদারের কাছ থেকে আরেক ঠিকাদার কাজটি চুক্তিতে কিনে নেয়। তারা সামান্য কাজ করে অপারগতা প্রকাশ করে। এর পর আরও দুই দফায় ঠিকাদার পরিবর্তন হয়। বর্তমানে ২-৪ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ চলছে ঢিমেতালে। একে তো রাস্তা খারাপ তার উপর সংস্কারের জন্য কাটাছেড়া ও পুরাতর কার্পেটিং সরিয়ে ফেলে ওভাবেই রেখে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে আগে মানুষ কষ্ট করে চললেও এখন তা-ও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এলাকাটি শিল্পাঞ্চল হওয়ায় খারাপ রাস্তা সত্ত্বেও ট্রাকসহ ভারী যান চলছেই। এতে ইট-খোয়া লালবালুতে পরিণত হয়েছে। বাতাসে ধুলা উড়ে পথচারী ও রাস্তার আশপাশের বাসাবাড়িতে দুর্বিষহ পরিবেশ তৈরি করেছে। বালু নাকে-মুখে গিয়ে শ্বাসকষ্টসহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে শিশুরা। সরকার দলীয় স্থানীয় নেতা আবুল কালম জানান, বেহাল রাস্তাটির জন্য শেরপুর-গাজীরখামার-নালিতাবাড়ী যোগাযোগ মূলত বন্ধ। বাধ্য না হলে কেউ এই রাস্তাটি দিয়ে আসতে চায় না। ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার আলী বলেন, ‘রাস্তাটি নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। এলজিইডিকে অনেক বলেছি, লাভ হয়নি।’ বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সামছউদ্দিন হায়দার দীলিপ জানান, এহাত-ওহাত করে কাজে দেরি হয়েছে। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। এলজিইডির সদর উপজেলার প্রকৌশলী গালিব ইবনে ছিদ্দিক জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চার বার কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। কাজটি দ্রুত শেষ করতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর