সোমবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বেহাল নিকলীর ডুবো সড়ক, ভোগান্তি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বেহাল নিকলীর ডুবো সড়ক, ভোগান্তি

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সাব মার্সিবল বা ডুবো সড়কগুলোর বেশিরভাগই ভেঙে গিয়ে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেহাল এসব সড়কের কারণে মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই এলাকাবাসীর।

নিকলী উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হাওর অধ্যুষিত নিকলীতে ছোট-বড় মোট ২৫টি ডুবো সড়ক রয়েছে। রড, কংক্রিট ও সিমেন্ট (আরসিসি) দিয়ে নির্মিত সড়কগুলোর বেশিরভাগই ভাঙ্গাচোরা। বিশেষ করে নিকলী সদর থেকে কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও পর্যন্ত চার কিলোমিটার, নিকলীর কুর্শা থেকে বাজিতপুরের হিলচিয়া পর্যন্ত চার কিলোমিটার এবং নিকলী থেকে সিংপুর পর্যন্ত নয় কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুবই করুণ। সিমেন্টের প্রলেপ খসে পড়ে পাথর সরে গেছে, রডও উঠে পড়ছে। বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও ধসে গিয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এরমধ্যে কুর্শা থেকে হিলচিয়া পর্যন্ত রাস্তাটি সারা বছর চলাচলের উপযোগী করার দাবি এলাকাবাসীর। তবে এলজিইডির নীতিমালায় হাওরের পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে ডুবো সড়ককে সারা বছর চলাচলের উপযোগী করার নিয়ম না থাকায় সেটা করা যাচ্ছে না বলে এলজিইডি সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, একনেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বর্ষা মৌসুমে এ সড়কগুলো পানিতে ডুবে থাকে। আর শীতকালে চলাচলের উপযোগী হয়। এ সময়টাতে শুধু যান চলাচলই নয়, হাওরে ধান কাটার সময় কাটা ধান এসব সড়ক দিয়েই ঘরে তোলা হয়। কিন্তু সড়কগুলোর বেহাল অবস্থার কারণে এলাকাবাসীকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহমান মুহিম জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় নিকলীর সব ডুবো সড়ক নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে যেগুলো ভাঙাচোরা, সেগুলো চলতি বছরেই সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হবে।

 

সর্বশেষ খবর