অপরিকল্পিত স্লুইসগেট নির্মাণ, দখল আর নাব্যতা সংকটে নন্দীকুজা নদী পরিণত হয়েছে ফসলের মাঠে। এক সময়ের স্রোতস্বিনী নন্দীকুজা এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। নদীতে পানি না থাকায় সেচ কাজে স্থবিরতা এসেছে। জেলেরা কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর মাঝ বরাবর ৬-৭ হাত প্রস্থের পানির ধারা বহমান আছে। নদী-তীরবর্তী মানুষের নদীর বুকে আবাদ করছে ফসল। কেউ সেখানে বীজতলা করেছেন। কেউ বা বীজতলা থেকে চারা তুলে সেখানেই রোপণ করেছেন। কেউ বুনেছেন গম বা খেসারীর বীজ। স্থানীয় সমাজসেবক আলী আকবর জানান, নদীতে এক সময় সারা বছর পর্যাপ্ত পানি থাকতো। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্প দিয়ে এলাকার পাঁচটি বিলে স্বল্পমূল্যে সেচ দেওয়া হতো। নদী ভরাট হয়ে পানি কমে যাওয়ায় বছর দশেক আগে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে নদী তীরের মানুষেরা চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।