লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের দুটি নলকূপ থেকে অনবরত বের হচ্ছে গ্যাস। দিয়াশলাইয়ের কাঠি ধরালেই জ্বলছে আগুন। চলছে রান্নার কাজও। এতে একদিকে গ্যাসের খনি পাওয়ার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে তেমনি দুর্ঘটনার শঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা যায়, সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের পূর্ব টুমচর গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার পারিবারিক কাজে ব্যবহারের জন্য গভীর (৯০০ ফুট) নলকূপ বসানোর কাজ শেষ হয়। শনিবার ওই নূলকূপের পাইপের পাশে বুঁদবুঁদ আওয়াজে গ্যাস উদ্গীরণ শুরু করে। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বের হচ্ছে গ্যাস। ওই নলকূপটি ছাড়াও ৩০ ফুটের একটি নলকূপের পাইপ দিয়েও গ্যাস বের হচ্ছে। বর্তমানে ওই গ্যাসে বাড়ির লোকজন রান্নার কাজও সারছে। গ্যাস বের হওয়ার খবর জানাজানি হলে এক নজর দেখতে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় করছেন। রবিবার বিকালে লক্ষ্মীপুর বাখরাবাদ গ্যাস বিক্রয় কেন্দ্রের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন বছর আগে একই গ্রামের দক্ষিণ টুমচর এলাকায় আরেকটি নলকূপ দিয়ে এভাবে গ্যাস বের হয়েছিল। গ্রামবাসীর ধারণা এলাকাজুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকার উদ্যোগ নিলে গ্যাসের খনিতে বদলে যেতে পারে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য। আবার প্রাকৃতিক গ্যাসে আগুন জ্বলায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কাও করছেন।
বাখরাবাদ গ্যাস বিক্রয় কেন্দ্র লক্ষ্মীপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বলেন, টুমচরে নলকূপ স্থাপন করলেই গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। গ্যাসের খনি আছে কিনা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
