নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় আদম ব্যবসায়ী পিতা-পুত্রের খপ্পরে পড়ে ৬০ লাখ টাকা খুইয়েছেন প্রতারণার শিকার ১০ যুবক। সাইপ্রাসে মোটা অংকের বেতনের চাকরিতে পাঠানোর প্রলোভন দেখালেও এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে ওই ১০ যুবকের পরিবারের। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুত্র এটিএম ফরহাদ ওরফে সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও পালিয়েছে প্রতারক পিতা ডা. ইবরাহিম। জানা গেছে, ফতুল্লা আলীগঞ্জ এলাকার ডা. ইব্রাহিম ও তার পুত্র এটিএম ফরহাদ সুমন দীর্ঘদিন ধরে আদম ব্যবসা করে আসছেন। তারা সাইপ্রাসে চাকরি করে এবং সেখানে মোটা অংকের বেতনে লোক নেওয়া হবে-প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর আগে ১০ যুবকের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা করে ৬০ লাখ টাকা এবং তাদের পাসপোর্ট নেয়। ওই ঘটনায় প্রতারণার শিকার আবু বক্কর সিদ্দিক গত ১ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ প্রতারক ফরহাদকে গ্রেফতার করলেও পালিয়ে গেছে তার পিতা ডা. ইবরাহিম। পরে ফতুল্লা মডেল থানায়ও গত ১৪ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রতারণার শিকার যুবক দেলোয়র হোসেন ও মানিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতারণার শিকার যুবকদের আশঙ্কা প্রতারক ডা. ইবরাহিম যেকোন সময় বিদেশ পালিয়ে যেতে পারে। এজন্য তারা পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মো. মঞ্জুর কাদের বলেন, ডা. ইবরাহিম ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের ৩/৪ টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। বর্তমানে ডা. ইবরাহিম পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
