শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
পদ্মার তলদেশ দিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ

সুবিধা পাবে বিচ্ছিন্ন ৩ ইউনিয়ন

রোকনুজ্জামান পারভেজ, শরীয়তপুর

শরীয়তপুরে পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলে বিদ্যুৎ যাচ্ছে বিচ্ছিন্ন তিনটি ইউনিয়নে। এতে বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে ৭২ হাজার মানুষ। পদ্মা ও মেঘনাবেষ্টিত ছোট-বড় অসংখ্য চরে ৬৫ বছর আগ থেকে মানুষের বসবাস। তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে চরগুলোর অবস্থান। জনসংখ্যা ৭২ হাজার। এ সব চরের মানুষ বিদ্যুতের আলো পায়নি কোনো দিন। তিন ইউনিয়নের মধ্যে নওপারা ও চরআত্রার অবস্থান নড়িয়া উপজেলায়। আর কাচিকাটা ভেদরগঞ্জের অন্তর্গত। শরীয়তপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একাদশ জতীয় নির্বাচনের আগে শরীয়তপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক শামীম চরগুলোতে গণসংযোগে গেলে বিদ্যুতের দাবি তোলেন বাসিন্দারা। নির্বাচিত হতে পারলে তাদের বিদ্যুৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে শ্রতিশ্রুতি দেন তিনি। নির্বাচনের পর এনামুল হক শামীম ওই তিন ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে শরীয়তপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেন। পদ্মার শরীয়তপুর অংশের তীর থেকে চরে নদীর দৈর্ঘ সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার। এ কারণে শরীয়তপুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। তখন সিদ্ধান্ত হয় মুন্সিগঞ্জ থেকে সংযোগ দেওয়ার। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার দীঘিরপার পদ্মার তীর হতে নওপারার দূরত্ব ৮০০ মিটার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে এ বিষয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধামন্ত্রী। আমরা তার ঘোষণা বাস্তবায়ন করছি’।

সর্বশেষ খবর