মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভাঙাচোরা সড়কে ভোগান্তি দোয়ারাবাজারবাসীর

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সংস্কারের অভাবে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার তিনটি সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ সব দিয়ে যাতায়াতকারী জনসাধারণকে। ভাঙাচোরা সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গন্তব্য পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় ব্যয়ের পাশাপাশি যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও। সড়কের ভাঙা স্থানে ঝাঁকুনির কারণে প্রায়ই বিকল হচ্ছে যানবাহন। বেহাল তিন সড়ক হচ্ছে- দোয়ারাবাজার-বগুলা, ছাতক-বাংলাবাজার ও দোয়ারাবাজার-ব্রিটিশের পয়েন্ট।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দোয়ারাবাজার-বগুলা সড়কটি দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে খানাখন্দে ভরা। সড়কটির মাঝের কিছু আংশ সংস্কার হলেও দুই প্রান্তে রয়ে গেছে অংসখ্য ছোট-বড় গর্ত। আর বগুলা থেকে কান্দাগাঁও পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটারে আরসিসি ঢালাই এমনভাবে ওঠে গেছে, বোঝাই উপায় নেই এটি পাকা সড়ক।

তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাবাজার-ছাতক সড়কটি উপজেলার প্রথম পাকা সড়কটি হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশের পয়েন্ট থেকে ছাতক পর্যন্ত অংশটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। সড়কটির আরসিসি ঢালাই উঠে গেছে। বর্ষাকালে গর্তগুলোতে পানি জমে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় উপজেলার বাংলাবাজার ও নরসিংহপুর ইউনিয়নের বিপুলসংখ্যক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জানমালের ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। এদিকে, উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রিটিশের সড়কটিও বেহাল দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি বাংলাবাজার-ছাতক ও ব্রিটিশের সড়কের ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে ব্যয় করা হবে ২১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তারই অংশ হিসেবে সড়কটির উত্তরে অংশে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে সহসাই লাঘব হচ্ছে না জনভোগান্তি। উপজেলা প্রকৌশীল জানান, ‘সড়ক সংস্কার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত কাজ শেষ করার সময়সীমা রয়েছে। এর আগেই কাজ শেষ করে মানুষের ভোগান্তি লাঘবের চেষ্টা করব।’ দোয়ারাবাজার উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রহিমের কাছে খানাখন্দে ভরা তিনটি সড়ক সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে অন্য একদিন কথা বলব।’

 

সর্বশেষ খবর