শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

‘মরা নদীতে’ প্রাণ নেই, সেচের অভাবে জমি অনাবাদি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

‘মরা নদীতে’ প্রাণ নেই, সেচের অভাবে জমি অনাবাদি

সরাইলে ভরাট হয়ে যাওয়া মরা নদী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ‘মরা নদী’ হিসেবে পরিচিত মেঘনার শাখা নদীটি পলি পড়ে ভরাট হওয়ার পথে। নদীটিতে পানির প্রবাহ না থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে সেচ সঙ্কটে পড়েছেন ১০ গ্রামের কৃষক। অনাবাদি থেকে গেছে কয়েক হাজার একর জমি। কৃষকরা জানান, মেঘনায় জোয়ার এলেই কেবল মরা নদীতে সামান্য পানি প্রবেশ করে। ওই সময়ে মরা নদীর সেচ পাম্পগুলো সচল হয়। অন্য সময় পানি পাওয়া যায় না। মরা নদীতে মাছ ধরে যাদের জীবনজীবিকা চলত এমন কয়েকশ পরিবার নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। নদীতে পানি না থাকায় হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের কৃষিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পরিবহনেও পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। অরুয়াইল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী তারিফুর রহমান জানান, প্রায় প্রতিদিন কৃষকরা নদী শুকিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করছেন। বিষয়টি ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় এলাকার কৃষকদের খুব কষ্ট হচ্ছে। কৃষি উৎপাদনের কথা বিবেচনা করে মরা নদী, ছেতরা নদীসহ আরেকটি খাল খননের জন্য একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি’। পাউবোর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীনুজ্জামান জানান, তিনি কয়েক মাস আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নকশাসহ প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানোর জন্য বললেও কোনো প্রস্তাব এখনো  আসেনি। শীঘ্রই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি।

মরা নদী তীরবর্তী রাজাপুর গ্রামের কৃষক সাদেক, সোনা মিয়া, আবদুল হামিদ, আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের দুর্ভোগ কেউ বুঝে না। ভোটের সময় নেতারা আমাদের কাছে আসেন। ভোটের পর আর কেউ খোঁজ নেয় না।

সর্বশেষ খবর