সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

মানব পাচারে ‘নিরাপদ রুট’ শার্শা-বেনাপোল সীমান্ত

কেউ ভালো কাজের প্রলোভনে কেউ পড়ছে দালালের খপ্পরে

বেনাপোল প্রতিনিধি

দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারের ‘নিরাপদ রুট’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত। কেউ ভাল কাজ পাওয়ার প্রলোভনে আবার কেউ পাচার হচ্ছে দালালের খপ্পরে পড়ে। অভিযোগ আছে, পাচারকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে সহজেই পার পেয়ে যায়।

সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বৈধ-অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ সীমান্ত ব্যবহার করছে। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বৈধভাবে পাসপোর্ট যাত্রী যেমন ভারতে যায়, তেমনি শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে শত শত নারী-পুরুষ অবৈধভাবেও ভারত ঢুকছে। বিজিবির কঠোর নজরদারি সত্ত্বেও থামছে না অবৈধ পারাপার। প্রায়ই আটক হচ্ছে শিশুসহ নারী, পুরুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণির দালাল পাচার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। অনেক সময় পাচারের শিকার নারীরা শিকার হন যৌন নির্যাতনের। শার্শা উপজেলার নাভারন সাতক্ষীরা মোড়, বাঁগআচড়া, সাতমাইল, বেনাপোলের কাগজপুর বিভিন্ন স্পটে বাস থেকে নারী, পুরুষ, শিশু নেমে দালালের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে কায়বা, রুদ্রপুর, গোগা, ভুলোট, পুটখালী, দৌলতপুর, সাদিপুর, রঘুনাথপুর ঘিবা, শিকারপুর, কাশিপুর সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে চলে যায় ভারতে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে।

সীমান্ত এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, একটি চক্র দেশের বিভিন্ন জেলার দালালের সঙ্গে কমিশনের ভিত্তিতে মানবপাচার করে থাকে। আবার ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক তরুণিকে ভারতের বিভিন্ন নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। দূরদূরান্ত থেকে আসা তরুণি ও গৃহবধূদের দালালরা সীমান্ত এলাকায় আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন নির্যাতনও করে। অনেকের কাছ থেকে কেড়ে নেয় টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র। লজ্জায় তারা মুখ খুলতে পারে না। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বেনাপোল পৌর শাখার সভাপতি মহসিন মিলন জানান, কখনও পাচারের ঘটনায় মামলা হলে অভিযুক্তরা দ্রুত জামিন পাওয়ায় পাচার কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না। শার্শা থানার ওসি জানান, সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব মূলত বিজিবির। তারপরও আমরা পাচারের খবর পেলেই অভিযান পরিচালনা করি।

সর্বশেষ খবর