হবিগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে চাষ করা আগাম জাতের বোরো ধান খেতে দেখা দিয়েছে চিটা। বছরের একমাত্র ফসলের এ অবস্থা দেখে কী করবেন-এই ভেবে দিশাহারা হাওর অঞ্চলের কৃষকরা। হাওর অধ্যুষিত এলাকা হবিগঞ্জের কৃষকরা সব সময়েই আগাম বন্যার ঝুঁকিতে থাকেন। পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে প্রায় প্রতি বছর আগাম বন্যায় তলিয়ে যায় তাদের সোনার ফসল। গত বছরও ধান কাটার শেষের দিকে বন্যা এবং অতি বৃষ্টির কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সে অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এ বছর বোরো মৌসুমে অনেক কৃষক আগাম জাতের ব্রি-ধান ২৮ ও ৭৪ আবাদ করেন। কিন্তু ধানে ব্যাপক হারে চিটা দেখা দেওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। বশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলার চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় এক লাখ ১৮ হাজার ১৯৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। দুই বছর ধরে আগাম বন্যায় অনেক কৃষকের স্বপ্ন তলিয়ে যায়।
এ বছর বন্যা থেকে রক্ষা পেতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে অনেকে স্বল্পজীবী আগাম জাতের ধান আবাদ করেন। কিন্তু এতেও দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। পরিবার নিয়ে সারা বছর কী করে চলবেন সেই চিন্তায় অস্থির কৃষকরা।