রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফসলহানির আশঙ্কায় হাওরে আধাপাকা ধান কাটছে কৃষক

মৌলভীবাজার বাজার

ফসলহানির আশঙ্কায় হাওরে আধাপাকা ধান কাটছে কৃষক

মৌলভীবাজারের হাওরে ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মৌলভীবাজারের হাওর-বাঁওড়জুড়ে এখন সোনালি ধান। যতদূর চোখ যায় শোভা পাচ্ছে আধাপাকা বোরো ধান। ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের চোখে-মুখে হাসির ঝিলিক। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষকদের মনে পানি বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফসল হারানোর ভয়ে আধাপাকা বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন তারা।  হাকালুকি হাওরপাড়ের কুলাউড়া উপজেলার আলীনগর গ্রামের মুহিব আলী রাজা, সেলিম মিয়াসহ অনেকে জানান, বোরো ধান আমাদের হাওরের কৃষকদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র ভরসা। বোরোর আয় দিয়ে চলে সংসার ও ছেলে-মেয়ের লেখা পড়ার খরচ। সেলিম বলেন, আমি ১৬ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। বন্যায় ফসল নষ্ট হলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়বো, তাই ফসল হারাতে চাই না।’ কাউয়া দিঘি হাওর এলাকার কৃষক মিজান মিয়া, খায়রুল আলী বলেন, এ বছর ধান ভাল হয়েছে। আগাম বৃষ্টির কারণে ধানের নিচে পানি জমে গেছে। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪৯ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে উফশী, স্থানীয় জাতের ৩২১ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাতের ধান চাষ হয়েছে দুই হাজার ৪৬৬ হেক্টর জমিতে। এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ হাজার ১১৬ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২ হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার বলেন, ‘বোরো ধান পাকতে আরও সাপ্তাহখানেক সময় লাগবে। তবে হাওরে বিচ্ছিন্নভাবে আগাম প্রজাতির ধান কাটা শুরু হয়েছে। মূলত ফসল হারানোর ভয়ে কৃষকরা এটা করছেন। চৈত্র বৈশাখ মাসে এ রকম কিছু বৃষ্টি হয়। এতে শঙ্কার কিছু নেই। এ বছর ফসল ভালো হয়েছে। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহজাহান বলেন, ‘গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বোরো ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এ বছর কৃষকরা ঘরে ফসল তুলতে পারবে বলে আশা করছি।’

সর্বশেষ খবর