রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

সড়ক দখল করে ব্যবসা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

সড়ক দখল করে ব্যবসা

সড়কে ট্রাক দাঁড় করিয়ে তোলা হচ্ছে পাথর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ঢাকা মহাসড়ক দখল করে চলছে পাথর ও বালুর ব্যবসা। জেলার জগদল বাজার থেকে বাংলাবান্ধা বন্দর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের দুই পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে পাথ-বালু। ফলে চলাচলের জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ায় এ সব এলাকায় দিন দিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। জগদলবাজার থেকে ভজনপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে। এরপর থেমে নেই মহাসড়ক দখল। এশিয়ান মহাসড়ক নামে পরিচিত এই সড়কে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। পঞ্চগড়ের শেষ সীমান্তে স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় প্রতিদিন কয়েক লাখ টন পাথর আমদানি হয়ে থাকে। এছাড়া এই এলাকার সমতল ভূমি কেটে ও বিভিন্ন নদী থেকে পাথর বালি তোলা হয়। এ সব পাথর ক্র্যাশিং মশিনে ভেঙে কিছু ব্যবসায়ী মহাসড়কে স্তূপ করে রাখছে। কেউ কেউ আবার মহসড়কের উপরই ক্র্যাশিং মেশিন বসিয়ে পাথর ভাঙছেন। অনেক ব্যবসায়ীর বালুর স্তূপও রয়েছে সড়কে। ফলে সদর উপজেলার জগদল, অমর খানা, দশমাইল, তেঁতুলিয়ার ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, রনচন্ডি ও সর্দারপাড়ায় মহাসড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছে এমন একটি সংগঠনের মুখপাত্র আইনজীবী জিল্লুর রহমান জানান, প্রতি মাসেই এ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মহাসড়ক দখল করে ব্যবসা করছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের জরুরি উদ্যোগ দরকার।

তেঁতুলিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি এনামুল হক বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। কয়েক মাস আগে বাংলাবান্ধায় সকল ব্যবসা বন্ধ করে ৩০ ফিট রাস্তা বের করা হয়েছিল। আবার দখল শুরু হয়েছে। মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয়দেরও এগিয়ে আসতে হবে।’ পঞ্চগড় সওজ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের লোকবল কম। মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়েছি। সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করতে হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা প্রয়োজন।’ তেঁতুলিয়ার ইউএনও সানিউল ফেরদৌস জানান, এ ব্যাপারে প্রথমত সওজ বিভাগকে উদ্যোগী হতে হবে। তারা লিখিতভাবে চাইলেই আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর