শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিন্ডিকেটে জিম্মি বগুড়া বিআরটিএ

মাঝেমধ্যে দুদকের অভিযান চললেও থেমে নেই অপতৎপরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় বগুড়া বিআরটিএ অফিস। এজন্য প্রতিনিয়ত হয়রানি এবং প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিলেও সমাধান হয়নি। অভিযোগ রয়েছে বগুড়া বিআরটিএর সহকারী পরিচালক সৈয়দ মেজবা উদ্দিন নিজেই এই সিন্ডিকেটের পুরোধা। একাধিক অভিযোগে বগুড়া দুদক মঙ্গলবার বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়ে চার সিন্ডিকেট সদস্যকে গ্রেফতার ও প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেন।

সূত্র জানায়, বগুড়া বিআরটিএ বগুড়া অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য ৪০ জনের সিরিয়াল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে গড়ে প্রতিদিন ১০০ জনের ফিঙ্গার প্রিন্ট করা হয়। এর মধ্যে ৩০ জনের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ম অনুযায়ী হলেও বাকিদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা হারে ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন ৩০টি শিক্ষানবিশ আবেদন সকাল ৯টায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গ্রহণের নিয়ম থাকলেও দায়িত্বশীল কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে দিনভর গড়ে শতাধিক আবেদন ফাইল নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ফাইল প্রতি ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নেয়।

একাধিক পরিবহন মালিক সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিএ বগুড়া অফিসে গাড়ি প্রতি লাইসেন্সের জন্য ৮০০ টাকা করে দিতে হয়। এ ছাড়া লার্নার, স্মার্টকার্ডসহ পরিবহন বিষয়ক যে কোনো ফাইল ছাড় করাতে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে।

বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জমান বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ অফিসে ঝটিকা অভিযান চালায়। অভিযানকালে এডি সৈয়দ মেজবা উদ্দিন অনুপস্থিত ছিলেন। তবে এডির একান্ত সহকারী গৌতম কুমার তার কক্ষে দালাল নিয়ে বসে ছিলেন। সেখান থেকে এক দালালসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন, শহরের ধরমপুরের একরামুল হক ডাবলু, মালতিনগরের আবদুল মজিদ, ফুলবাড়ীর মাহমুদুর রহমান এবং বেলাল হোসেন।

সর্বশেষ খবর