শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

বোরোর বাম্পার ফলন

সুনামগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদনের আশা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও হাওর থেকে সময় মতো পানি নেমে যাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের। তবে উৎপাদন ব্যয়ের অনুপাতে ফসলের মূল্য কম হওয়ায় ভাল ফলনের পরও লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষীরা। অনেকে বলছেন, কৃষকদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে চাহিদামাফিক ধান কেনার উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষি বিভাগ জানায়, এবার জেলায় দুই লাখ ১৭ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যেখান থেকে আট লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হওয়ার কথা। কিন্তু অনুকূল পরিবেশের কারণে আবাদ হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদান হবে ৯ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল। সব ঠিক থাকলে অতিরিক্ত যে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন চাল হবে তা থেকে ১২৬ কোটি টাকা বেশি আয় হবে। সূত্র জানায়, বিগত বছরগুলোতে হাওরের পানি দেরিতে নামার কারণে অনেক জমিতে বোরো আবাদ করা সম্ভব হয় না। চলতি মৌসুমে পানি সময়মত নেমে যাওয়ায় নিচু ও পতিত জমিতেও আবাদ করা সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে বোরো আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি অনেককে চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। তাছাড়া উচ্চফলনশীল ও হাইব্রিড ধান আবাদও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার অন্যতম কারণ। হাওর ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। চারা থেকে বেরিয়ে আসছে শীষ। স্থানীয় জাতের ধান আগাম পেকে যাওয়ায় অনেক হাওরে ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। সবকিছু অনুকূল থাকলে ভাল ফলনের প্রত্যাশা তাদের। তারপরও আগাম বন্যা, ঝড়, শিলাবৃষ্টি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে চাষিদের। তাহিরপুরের লামাগাঁও গ্রামের কৃষক মাসুক মিয়া জানান, ‘প্রতিমণ ধান উৎপাদন করতে ৭০০ টাকার মতো খরচ হয়। উৎপাদিত ফসল থেকে ওই টাকাও তোলা যায় না। সরকার মণপ্রতি ধানের মূল্য কমপক্ষে এক হাজার টাকা নির্ধারণ করে কৃষকের কাছ থেকে কেনার উদ্যোগ নিলে চাষিদের লাভবান হওয়া সম্ভব।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বশির আহম্মেদ জানান, ফলন ভাল হয়েছে। তবে বাম্পার বলতে গেলে আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।’ পাকা ধান দ্রুত কাটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর