রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভাঙ্গায় ৫০ বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

অনেক ভবন খুবই জরাজীর্ণ, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে কোনোটির

ভাঙ্গা প্রতিনিধি

ভাঙ্গা উপজেলায় অর্ধশত প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ২৫টি ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক ভবনের খুবই জরাজীর্ণ অবস্থা। খসে  পড়েছে কোনোটির ছাদের পলেস্তারা। বিপদ জেনেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে চালিয়ে যাচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।

ভাঙ্গা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ২৫টি বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ করে পুনর্নির্মাণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ‘ডিও লেটার’ দিয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের একটি হচ্ছে ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর মহল্লায় অবস্থিত ছিলাধরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির একমাত্র একতলা পাকা ভবন নির্মিত হয় ২০০১ সালে। বর্তমান ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ বিদ্যালয়ে ৩৭০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রয়েছেন ছয়জন। সবশেষ গত ১ এপ্রিল দুপুরে অফিস কক্ষের ছাদের বড় অংশের পলেস্তারা খসে পড়ে। এর পর দিন খসে পড়েছে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চলাকালে ওই কক্ষের পলেস্তারা। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র হাসিবুল জানায়, আমরা সবাই ভয়ে আছি। চতুর্থ শ্রেণির মারিয়া আক্তার জানায়, যে কোনো সময় ছাদ খসে আমাদের মাথার ওপর পড়তে পারে।

এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোর্সিদা জামান হোসনা বলেন, একে-তো বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ছোট ও ঝুঁকিপূর্ণ। পলেস্তারা খসে পড়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে থাকেন। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ২০১৬ সাল থেকে লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে আসছি। নতুন ভবনের কোনো খবর নেই। প্রায় একই অবস্থা উপজেলার আরও ৪৯টি স্কুল ভবনের। ভাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনের তালিকায় ছিলাধরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধশতাধিক নাম শিক্ষা অধিদফতরে পাঠিয়েছি। আবারও লিখিতভাবে জানাব, যাতে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ হয়।

 

 

 

সর্বশেষ খবর