রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঝড়ে বিধ্বস্ত উপকূল, বহু পরিবার খোলা আকাশের নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ঝড়ে বিধ্বস্ত উপকূল, বহু পরিবার খোলা আকাশের নিচে

খুলনার দাকোপে ঝড়ে বিধ্বস্ত বাড়িঘর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

খুলনার উপকূলীয় এলাকা পাইকগাছা, দাকোপ ও কয়রায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ল ভ  হয়ে গেছে বাড়িঘর, স্কুল, ফসলের মাঠ। ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য পরিবার অবস্থান করছে খোলা আকাশের নিচে। সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের। জানা যায়, চলতি মৌসুমে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় একের পর এক আঘাত হানছে ঝড়। শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ে পাইকগাছা উপজেলার তিলডাঙ্গা, কামিনীবাসিনী, ফেদুয়ারাবাদ, দেবদুয়ার, কানুয়ারডাঙ্গা এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখানে প্রায় শতভাগ মাটির ও টিনের বসতঘর ভেঙে পড়েছে। নষ্ট হয়েছে খেতের ফসল। এদিকে গত মঙ্গলবারের ঝড়ে দাকোপ ও কয়রা উপজেলারও হয়েছে একই অবস্থা।

পাইকগাছা তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সুলেখা সরদার জানান, ঝড়ে ঘরবাড়ি, স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়ে গেছে মাটি ও টিনের ঘরের চালা। বয়োবৃদ্ধ কালিপদ সাহা বলেন, ‘পরিবার পরিজন নিয়ে চারদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। বাড়িঘর কিছুই নাই, আমরা সহায়-সম্বলহীন। কানতে কানতে আমাদের চোখে জলও নাই।’ স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনা খাবার, শাড়ি, কাপড় বিতরণ করছে স্বেচ্ছাসেবীরা। তবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বড় ধরনের সরকারি অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় সমাজ সেবক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল বলেন, মানুষ অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। অনেকেই অর্ধাহারে-অনাহারে রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দের প্রয়োজন। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেছেন, জরুরি ভিত্তিতে দাকোপে ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাইকগাছা ও কয়রায়ও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর