সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

খরায় পুড়ছে পাহাড়

♦ বাড়ছে তাপ, শুকিয়ে যাচ্ছে খাল
♦ বিল ছড়া, গরমে দুর্বিষহ জীবন

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

খরায় পুড়ছে পাহাড়

প্রচণ্ড তাপদাহে শ্রমিকদের নাভিশ্বাস -বাংলাদেশ প্রতিদিন

খরায় পুড়ছে পাহাড়। বাড়ছে তাপ। শুকিয়ে যাচ্ছে খাল, বিল, ছড়া, কূপ। রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি না থাকা এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে গরমে তীব্রতা। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে পাহাড়ের জনজীবন। কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর কমে নিচে নেমে যাওয়ায় ছয়টি উপজেলায় বন্ধ হয়ে গেছে লঞ্চ চলাচল।

রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি। টানা দুই সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা বিরাজ করছে। প্রায় প্রতিদিন রাঙামাটিতে ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। রাঙামাটি আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপাপ্ত কর্মকর্তা কাজী হুমায়ন রশিদ বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের বিষয়ে রাঙামাটি লঞ্চমালিক সমিতির সভাপতি মাঈনুউদ্দীন সেলিম জানান, কাপ্তাই হ্রদে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে পলি জমাট হয়। যার কারণে ভরাট হয়ে গেছে এর তলদেশ।

গ্রীষ্মে হ্রদের বুকে জেগে উঠে অসংখ্য ডুবোচর। তখন হ্রদ ছড়ায় পরিণত হয়। এ সময়টায় নৌপথে বড় লঞ্চ চলাচল করতে পারে না। রাঙমাটির সদরের সঙ্গে নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, ছোট হরিনা-বড় হরিনা, লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। হ্রদে পানি না বাড়লে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক করা যাবে না।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন রাঙামাটি সদরের সঙ্গে ছয়টি উপজেলার লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে ভাড়া বাড়িয়েছে নৌপরিবহন ব্যবসায়ীরা। তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা। লংগদু উপজেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবুল ফরাজি বলেন, হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় ঘাটে লঞ্চ আসছে না। তাই এ উপজেলায় ব্যবসা করা খুবই কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর