শিরোনাম
শনিবার, ৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

আলো ছড়াচ্ছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

আলো ছড়াচ্ছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আলো ছড়াচ্ছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ‘ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’। প্রতি সাপ্তাহে একদিন উপজেলা শহরে আসে ‘ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’র গাড়িটি। ওই দিন সকাল থেকে পাঠকরা গাড়ি আসার অপেক্ষায় থাকেন। কখন গাড়ি আসবে, আর পুরান বই জমা দিয়ে নতুন বই সংগ্রহ করবেন তারা। জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কোনো পাবলিক গ্রন্থাগার নেই। শহরের লাইব্রেরিগুলোতেও অভাব রয়েছে মানসম্মত বইয়ের।

তাছাড়া লাইব্রেরি থেকে বই বাসায় নিয়ে পড়ার সুযোগ নেই। এ কারণে বইপাগল মানুষের একমাত্র ভরসা বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ‘ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’। প্রতি শনিবার শহরের নির্দিষ্ট পাঁচটি স্থানে এসে দাঁড়ায় বইয়ের গাড়ি। গাড়িতে থাকে ৬৪৪৮টি বই। এর মধ্যে রয়েছে প্রবন্ধ, উপন্যাস, আত্মজীবনী, ইতিহাস, কবিতা, সাইন্স ফিকসন, অনুবাদ, ভাষা, মুক্তিযুদ্ধ, শিশু কিশোর সাহিত্য, ভ্রমণ কাহিনীসহ ধর্মীয় বই। শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল কর্মসূচির বইও আছে। গাড়িটি প্রতিটি স্থানে অবস্থান করে এক ঘণ্টা। কোনো পাঠক যদি আগের সপ্তাহের বই পড়ে শেষ করতে না পারেন তবে ওই বইটিই রি-নিউ করে নেন।

শুধু শিক্ষার্থীই নয়, এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির পাঠক তালিকায় আছেন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, গৃহিণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ ইউনিটের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কর্মকর্তা লাক মিয়া বলেন, শ্রীমঙ্গলে তাদের ৪০০ সদস্য আছেন। এই লাইব্রেরিতে দুই ধরনের সদস্য নেওয়া হয়। সাধারণ ও বিশেষ সদস্য। সাধারণ সদস্য হতে ১০০ আর বিশেষ সদস্য হতে ২০০ টাকা জামানত দিতে হয়।

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিচালক ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘একটি জাতির উন্নয়নে বইয়ের বিকল্প নেই। মানুষ যাতে ঘরে নিয়ে বই পড়তে পারে বা ঘরে বসে বই পেয়ে যান এই চিন্তা থেকেই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি করা হয়।

 

সর্বশেষ খবর