কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) কর্তৃপক্ষ ও অবৈধ ভবন মালিকদের মধ্যে যেন লুকোচুরি খেলা চলছে। চলতি মাসের ৪ এপ্রিল নগরীর নকশাবহির্ভূত ৯টি ভবনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই নয়টিসহ ১৯টি ভবনে লাল নোটিস লাগানো হয়। নোটিসে লেখা হয় ‘ভবনটি নকশাবহির্ভূত। এটি থেকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।’ ভবন নির্মাণ কাজও বন্ধ করতে বলা হয়। নোটিস লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যে তা পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয় ভবন কর্তৃপক্ষ। এরপর পর্দার ভিতরে থাকা নোটিসও সরিয়ে ফেলে। এ সব ভবনের নির্মাণ কাজও চলতে থাকে স্বাভাবিক গতিতে। সিটি করপোরেশনের লাগানো নোটিস ঢেকে ফেলা কিংবা সরিয়ে ফেলার বিষয়ে কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সূত্রমতে, কুমিল্লা সিটি এলাকায় ভবনগুলোর ৯০ ভাগই নকশাবহির্ভূত। ৪ এপ্রিল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে সিটি মেয়র বিভিন্ন অবৈধ ভবনের কাজ বন্ধ করে ভবন মালিককে ভর্ৎসনা করেন। সেদিন মেয়র গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, নকশাবহির্ভূত এবং নকশাবিহীন ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বিভিন্ন ভবন মালিককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান না করলে ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হবে। সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের কাজগুলো দায়সারা গোছের। তাদের কর্মকর্তারা মাঠে তদারকি করলে এ সব অবৈধ ভবন নির্মিত হতো না।