শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রতি মণে লোকসান ২০০ টাকা

আশুগঞ্জ মোকামে ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রতি মণে লোকসান ২০০ টাকা

আশুগঞ্জ ধানের মোকাম -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সরকারের ক্রয়নীতি ঘোষণার পরও ধানের দাম না বাড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে দাম কম হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ইরি-বোরো মৌসুমে অনেক কৃষক চাষাবাদ থেকে বিরত থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ ধান আশুগঞ্জ মোকামে আসে। আর এসব ধান স্থানীয় চার শতাধিক রাইস মিলে চালে রূপান্তর করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। কৃষকরা বলছেন, প্রতি মণ ধান উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা। কিন্তু বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে গড়ে সাড়ে ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা। প্রতি মণ ধানে দুইশ থেকে দেড়শ টাকা লোকসান হচ্ছে। আশুগঞ্জ ধানের মোকামে প্রতি মণ বোরো ধান বিআর ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকা পর্যন্ত। বিআর ২৯ বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকা। মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা ও ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা।  সিলেট থেকে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক হাজী আবু তাহের বলেন, শ্রমিকের মজুরি, সার, কীটনাশক, বীজ সব মিলিয়ে মণপ্রতি ধান উৎপাদন খরচ ৮০০ টাকার মতো পড়ে যায়। এখন বিক্রি করতে আসার পর শুনতে পাচ্ছি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রতি মণে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চাতালকল ও হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়ায়দুল্লাহ বলেন, চলতি মৌসুমে হাওরে শিলা-বৃষ্টি ও ধানে চিটার কারণে ধানের ফলন কম হয়েছে। এ জন্য আশুগঞ্জ মোকামে ধান আসছে কম। সেই সঙ্গে চাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান ও চাল মজুদ থাকায় ব্যবসায়ীরা ধান ক্রয় করছেন কম। সরকার রপ্তানির অনুমতি দিলে চালের দাম বেড়ে যেত।

সর্বশেষ খবর