বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঘর পেয়ে হাসি ১৪০ পরিবারে

রয়েছে স্যানিটেশন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ঘর পেয়ে হাসি ১৪০ পরিবারে

বগুড়া সোনাতলা উপজেলার চরসরলিয়া গুচ্ছগ্রাম -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চরসরলিয়া ১৪০ ভূমিহীন পরিবার পেল মাথাগোঁজার ঠাঁই। ঘর পেয়ে বেজায় খুশি এসব পরিবারের সদস্য। স্থানীয় এমপি আবদুল মান্নানের প্রচেষ্টায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় এবং সিভিআরপি প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ হয়েছে ওই গুচ্ছগ্রামটি। ইতিমধ্যেই ওই গুচ্ছগ্রামের শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে গত বছরের জুন মাস থেকে শুরু হয় গুচ্ছগ্রাম নির্মাণকাজ। এ গুচ্ছ গ্রামের ১৪০টি ভূমিহীন পরিবারের প্রতিটির জন্য বরাদ্দ থাকবে একটি ঘর, স্যানিটারি ল্যাট্রিন, বন্ধু চুলা। এছাড়া ছয়টি পরিবারের জন্য একটি করে মোট সাতটি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করতে থাকবে একটি সঞ্চয় সমিতি। চরসরলিয়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান জানান, তাদের নিজস্ব কোনো জমি নেই। পার্শ্ববর্তী সরলিয়া, চরচুকাইনগর, খাবুলিয়া, পূর্বতেকানী, মহব্বতেরপাড়া ও মহেশপাড়া থেকে এসে তারা ওই গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হয়েছেন। ঘর বরাদ্দ নিতে কোনো টাকা-পয়সা দিতে হয়নি। তবে শিশুদের জন্য লেখাপড়ার ব্যবস্থা না থাকা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় কিছুটা হতাশাও রয়েছে বাসিন্দাদের মনে। গুচ্ছগ্রামবাসী একটি মসজিদ নির্মাণেরও দাবি করেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, ইতিমধ্যে সোনাতলা উপজেলার শিচারপাড়া ও চরসরলিয়া, পাকুল্লার সুজাইতপুর গুচ্ছগ্রামে ৫ শতাধিক ভূমিহীন পরিবারের মাথাগোঁজার ঠাঁই হয়েছে। চরসরলিয়ায় অবস্থিত গুচ্ছগ্রামটি বসবাসের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গুচ্ছগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি শফিকুর আলম জানান, গুচ্ছগ্রামের বাড়িঘরগুলো নির্মাণ হয়েছে বেশ সাজানো-গোঁছানোভাবে। পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ ও সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে। স্থানীয় এমপি আবদুল মান্নান বলেন, অসহায় লোকজন যাতে একটু ভালোভাবে বসবাস করতে পরে এ লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রামটি গড়ে তোলা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর