শনিবার, ২৫ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
আজ ঘূর্ণিঝড় আইলা দিবস

১০ বছরেও নির্মিত হয়নি টেকসই বাঁধ

বেড়িবাঁধ সংস্কারে নানা অনিয়মের অভিযোগ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

১০ বছরেও নির্মিত হয়নি টেকসই বাঁধ

আইলার ক্ষত মুছেনি আজও - ফাইলফটো

আজ ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা দিবস। ২০০৯ সালের এ দিনের ঘূর্ণিঝড় আইলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল খুলনার কয়রা, দাকোপ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি এবং বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা এলাকার মানুষ। আইলার তা-বে মানুষের প্রাণহানিসহ বিলীন হয়েছিল ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট। লন্ড ভন্ড হয় দক্ষিণ উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ। ওই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৫৯৭ কিলোমিটার বাঁধ পানির তোড়ে ভেসে যায়। আইলার পর উপকূলের মানুষের দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। কিন্তু ১০ বছরেও নির্মিত হয়নি কাক্সিক্ষত বেড়িবাঁধ। খুলনার দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় এলাকায় প্রতি বছর বাঁধ ভাঙে। জোড়াতালি দিয়ে এসব  বেড়িবাঁধ সংস্কারও হয়, কিন্তু স্থায়ী সমাধান হয় না। অভিযোগ রয়েছে, বাঁধ সংস্কারের নামে প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও নানা অনিয়মে অর্থ অপচয় হয়। টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় সারা বছর আতঙ্কে দিন কাটে উপকূলের কয়েক লাখ মানুষের। পাউবো সূত্র অনুযায়ী, আইলার পর ‘উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প ফেজ-১’ এর আওতায় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনায় ৬২৫ কিলোমিটার বাঁধ পুনঃনির্মাণে বৃহৎ প্রকল্প নেওয়া হয়। এ ছাড়া ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন প্রকল্প (২য় পর্যায়), ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগেরহাট জেলার ৩৬/১ পোল্ডারে পুনর্বাসন প্রকল্প, ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনার দাকোপে ৩১নং পোল্ডার এবং বটিয়াঘাটায় ৩০ ও ৩৪/২ পোল্ডারে বাঁধ পুনঃসংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা অঞ্চলে বাস্তবায়ন করা হয়েছে অবকাঠামো পুনর্বাসন (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল) প্রকল্প, নদী তীর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প (৪র্থ পর্যায়), এফডিআর-২০০৭ (ওয়ামিপ) প্রকল্প। কিন্তু তার পরও গত ৪ মে ঘূর্ণিঝড় ফনীতে উপকূলের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক ছিল ‘বেড়িবাঁধের ভাঙন।’

সর্বশেষ খবর