রবিবার, ২৬ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

আর্সেনিক ঝুঁকি কমাতে গভীর নলকূপ

গোপালগঞ্জে এক বছরে ৩২৩৭ টিউবওয়েল স্থাপন, সবাই পাচ্ছে সুপেয় পানি

আমিনুল হাসান শাহীন, গোপালগঞ্জ

আর্সেনিকের ঝুঁকি কমাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে গোপালগঞ্জে স্থাপন করা হচ্ছে ৩ হাজার ২৩৭টি গভীর নলকূপ। এর মাধ্যমে জেলার শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ের সাধারণ মানুষ সুপেয় পানির সুযোগ পাচ্ছে। বসতবাড়ি থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জায় এখন পাওয়া যাচ্ছে আর্সেনিকমুক্ত পানি। এখন আর সুপেয় পানির জন্য এ গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যেতে হয় না। গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পে দুই হাজার ১২টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। আর অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পে সাধারণ বরাদ্দ ও অতিরিক্ত মিলে স্থাপন করা হয়েছে এক হাজার ৬৮টি। আগামী অর্থবছরে ৫ হাজার ৬০০ সাব-মার্সিবল পাম্পসহ গভীর নলকূপ, ৪২টি গ্রামীণ পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প, ১০টি সিডকো প্লান্ট, ১০টি রিভার্স অসমোসিস প্লান্ট, ২ হাজার আর্সেনিক আয়রন রিমোভাল প্লান্টের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে আরও ২০০ গভীর নলকূপ প্রয়োজন। এই ২০০ গভীর নলকূপ স্থাপন করতে পারলে এ ইউনিয়নের কোনো বাড়িতে আর্সেনিকমুক্ত সুপেয় পানির সমস্যা থাকবে না।’ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আমার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন গভীর নলকূপের আবেদন নিয়ে আসে। কিন্তু যথেষ্ট বরাদ্দ না থাকায় তাদের দিতে পারি না।’

গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র বলেন, ‘জেলার পাঁচ উপজেলায় সুপেয় পানির সুবিধার জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্থাপন করা হচ্ছে তিন হাজার ২৩৭টি গভীর নলকূপ। এই গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে উপজেলার শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ের সাধারণ মানুষ আর্সেনিমুক্ত পানি পানের সুযোগ পাচ্ছে।’ এই কর্মকর্তা জানান, গোপালগঞ্জের যেসব বাড়িতে এখনও গভীর নলকূপ স্থাপন হয়নি সেসব পরিবারের জন্য আগামী অর্থবছরের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পেলে একটি পরিবারও আর্সেনিকমুক্ত পানি পান থেকে বঞ্চিত থাকবে না।

 

সর্বশেষ খবর