সোমবার, ৩ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্টেশন আছে, মাস্টার নেই

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

স্টেশন আছে, মাস্টার নেই

নেত্রকোনা সদর উপজেলার হিরণপুর ইউনিয়নের রেল স্টেশন

নেত্রকোনা সদর উপজেলার হিরণপুর ইউনিয়নের স্টেশনটিতে টিকিট মাস্টার নেই গত পাঁচ বছর ধরে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা রুটের দুটি ট্রেন থামলেও যাত্রীরা উঠতে পারেন না। টিকিট না থাকায় ট্রেনে ওঠার পর টিটিদের দিতে হয় বাড়তি টাকা। অনেক সময় টাকা দিয়েও হয়রানির শিকার হন তারা। যে কারণে অটো সিএনজি বা বাসে অধিক খরচে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় ইউনিয়নটির প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে। এ ছাড়া যারা ঢাকা থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে আসা-যাওয়া করেন তাদের নামতে-উঠতে হয় শ্যামগঞ্জ বা নেত্রকোনা স্টেশনে গিয়ে। এতে করে রাতের ট্রেনগুলোতে চলচাল করতে জীবনের ঝুঁকি হয়ে যায়। গভীর রাতে নেমে স্টেশনেই রাত কাটিয়ে সকালে বাড়িতে পৌঁছতে হয়।

এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য বিভিন্ন ভার্সিটিতে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার দুপুরের মহুয়া কমিউটার ট্রেন আসার পূর্বে পাপড়ি রক্তদান সংগঠনের ব্যানারে স্টেশনে মানববন্ধন করেছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুর রাশিদ তালুকদার, কবি এমদাদ খান, মোশারফ মাস্টার, শিক্ষার্থী সংগঠন উদ্যোক্তা আলামিন, জহিরুল ও পাপ্পু সারোয়ার লিমনসহ স্থানীয়রা। তাদের দাবি, সরকারের কাছে স্টেশনটিতে একজন স্টেশন মাস্টার নিয়োগ করে সচল করা হোক। কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারের স্টেশনগুলোকে নতুন আঙ্গিকে রাখার পরও বন্ধ থেকে নষ্ট হচ্ছে। রেলের কোনো রাজস্ব আয় হচ্ছে না। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার। কাজেই মহুয়া কমিউটার ট্রেনসহ ঢাকার অন্তত একটি ট্রেন স্টেশনে থামলেও ইউনিয়নটির প্রায় ৩০ হাজার মানুষের উপকার হবে। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর