সোমবার, ৩ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে আইসক্রিম ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার পাথরঘাট এলাকায় ভুক্তভোগী পরিবার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ব্যবসায়ীর মা তাহমিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, দারোগা মোস্তাক আমার ছেলে সোহেল মিয়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে ডেকে নিয়ে যান। ওই সময় স¤্রাট নামে আরেক জনকেও নেওয়া হয়। এর পর তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। অস্বীকার করলে আমার ছেলেকে মারপিট, ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। সোহেলের স্ত্রী তাহিনুর বলেন, কনস্টেবল শামসুল আমাকে ফোন দিয়ে বলে, তোর স্বামীকে ক্রসফায়ার দেওয়া হচ্ছে। বাঁচাতে চাইলে এক লাখ টাকা নিয়ে আয়। ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, ডিবি অফিসে নেওয়ার পর কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে রশি দিয়ে লটকায়। মুখে কাপড় গুঁজে এলোপাতাড়ি মারাপিট শুরু করেন। পরে টাকা দেওয়ার কথা বলেন। কিসের টাকা জানতে চাইলে আরো বেশি মারপিট করেন। বাড়ি থেকে টাকা আনতে দেরি হওয়ায় তারা আমাকে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ক্রসফায়ার দিতে নিয়ে যায়। পরে টাকা দিয়ে মুক্তি পাই। সম্্রাটের স্ত্রী রোকসানা বলেন, পুলিশ সদস্যরা বাসায় এসে মাটি খুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে তারা আমাকে চড়থাপ্পর মারতে থাকে। পরে আরেকজন এসে লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে। ডিবি পুলিশের এসআই মোস্তাক আহাম্মেদ ওয়াসিম বলেন, মূলত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সোহেল ও সম্্রাটকে আনা হয়েছিল। তাদের নিয়ে কবরস্থানসহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তবে অস্ত্র পাওয়া যায়নি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে টাকা-পয়সা লেনদেনের ঘটনা সত্য নয়। পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন (বিপিএম) বলেন, কোনো পুলিশ সদ্যসের বিরুদ্ধে যদি এমন কোনো অভিযোগ উঠে, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমি শুনেছি কাউরিয়া পাড়া এলাকার একজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে হয়রানি করার জন্য এ ধরনে কর্মকা- করছে।

সর্বশেষ খবর