শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুস্থদের চালেও দুর্নীতি!

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

আসন্ন ঈদুল ফিতরে দুস্থদের জন্য বরাদ্দ চাল বিতরণেও দুর্নীতি শুরু হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে চাল বিক্রি করে দেওয়াসহ মাপে কম এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠেছে। আবার দলীয় নেতাকর্মীর নামে বরাদ্দ স্লিল্পগুলোও দুস্থদের না দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠেছে। দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত মাত্র জনপ্রতি ১৫ কেজি চালেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রায়  দুই লাখের বেশি দুঃস্থ পরিবারের জন্য পরিবারপ্রতি ১৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ পাওয়ার পরই দুর্নীতি শুরু হয়। ২৮ মে র‌্যাব-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শহরের মিরপুর মহল্লার এসএস ট্রেডার্সের একটি গোডাউন থেকে ৮৭৭ বস্তা চাল উদ্ধার করে এবং র‌্যাব দুই কালোবাজারিকে আটক করে। চালগুলো বেলকুচি উপজেলার দরিদ্রের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তাড়াশ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের দুস্থদের জন্য ৬৯ বস্তা চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাউন্সিলর বকুল হোসেন ৭ বস্তা বিতরণ করে ৬২ বস্তা কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার সময় উপজেলা প্রশাসন হাতেনাতে জব্দ করেন। ৩০ মে সদরের একটি গোডাউন থেকে ৬৬৫ বস্তা চাল সহকারী কমিশনার (ভূমি) জব্দ করেন। এছাড়াও উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ও রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নে মাপে কম দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান-মেম্বরদের কাছ থেকে দলের দুস্থ কর্মীদের নামে চালের স্লিল্প নিয়ে সেই চাল ডিলারদের কাছে মাত্র ১০-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে প্রকৃত দুঃস্থরা বঞ্চিত হয়ে পড়ছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, দুস্থদের মধ্যে বরাদ্দকৃত চাল সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়। তারপরেও অনেক জায়গায় দুর্নীতি হয়। আবার দেখা যায় অনেক দুঃস্থ ব্যক্তি চাল নিয়েই বিক্রি করে দেয়। তাই পুরোপুরি দুর্নীত রোধ করা কঠিন। এ জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বররসহ সকলের মনমানসিকতার পরিবর্তনের পাশাপাশি সহযোগিতা প্রয়োজন। 

সর্বশেষ খবর