পুত্রবধূর সারাক্ষণ গালাগাল আর মানসিক নির্যাতনে দাফনের পাঁচ মাস পর কবর থেকে শাশুড়ির মরদেহ উঠিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে একটি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা সদর উপজেলার হাইলোড়া গ্রামে।
স্থানীয় কাইলাটি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, কবর থেকে মরদেহ উঠানোর বিষয়টি নিয়ে শনিবার (গতকাল) গ্রাম্য শালিস বসার কথা। সবার সিদ্ধান্তক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি জানান, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসী জানান, নেত্রকোনা সদর উপজেলার হাইলোড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের পাঁচ ছেলে পরিবার নিয়ে একত্রে বাস করে আসছিল। এদের মধ্যে ছেলে মঞ্জুরুল হকের স্ত্রী রীনার যৌথ পরিবার পছন্দ ছিল না। পাঁচ মাস আগে রিনার শাশুড়ি মারা যান। পরিবারের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে পুত্রবধূ রিনার কেনা জমিতে দাফন করা হয়। কবর দেওয়ার কিছুদিন পর থেকেই রীনা তার জমি থেকে মরদেহ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের গালমন্দ ও নানাভাবে মানসিক নির্যাতন শুরু করে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার দিকে তেড়ে আসে। রিনার নির্যাতন থেকে বাঁচতে এবং পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে শেষ পর্যন্ত পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেয় মায়ের মরদেহ তোলার। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে বাড়ির উঠানে পুনরায় কবর দেওয়া হয়।