শিরোনাম
সোমবার, ১০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ি

রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার আছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে হরিলুট। বিপজ্জনকভাবে মূল পাইপলাইন থেকে নেওয়া হয়েছে বিপুল সংখ্যক অবৈধ সংযোগ। এতে রয়েছে নিরাপত্তার হুমকি। যে কোনো সময় ঘটতে পরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নিয়ম অমান্য করে প্রতিদিনই দেওয়া হচ্ছে নতুন গ্যাস সংযোগ।

বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রামে গ্রামে অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা পাইপ আনছে, লাইন বসাচ্ছে, রাইজার উঠাচ্ছে। বিল বই দিচ্ছে। সবই করছে। এ নিয়ে প্রশাসনও শঙ্কিত। অনেক জায়গায় অভিযান করতে চাইলে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান বলেন, ‘মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই মোবাইল কোর্ট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’ জানা যায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ফুট দৈর্ঘ্যরে ২৩টি অবৈধ গ্যাস লাইন চিহ্নিত করেছে। অবৈধ সংযোগের পরিমাণ তাদের হিসাবে পাঁচ হাজার।

স্থানীয় সূত্র বলছে, অবৈধ সংযোগ সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি হবে। হিসাব মতে, অবৈধ সংযোগ ৩০ হাজার হলে সরকার প্রতি মাসে রাজস্ব হারাচ্ছে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা। বৈধভাবে এ সব সংযোগ দেওয়া হলে প্রতিটি সংযোগে জামানত আসতো ১ হাজার ৬০০ টাকা। অবৈধ সংযোগ প্রদানকারী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে বাখরাবাদ। অবৈধ সংযোগে বাধা দেওয়ায় বিভিন্ন সময় নাজেহাল হয়েছেন অনেক কর্মকর্তা। ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাস বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ ছিলো তিতাস গ্যাস। এরপর দায়িত্ব নেয় বাখরাবাদ। অনুসন্ধানে জানা যায়, অবৈধ গ্যাস সংযোগের জন্য নেওয়া হয় মোটা অংকের অর্থ। গ্রাহকপ্রতি লেনদেন হয় ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিক্রয় বিভাগের ডিজিএম প্রকৌশলী জাহিদুর রেজা জানান, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে দেখা যায় কেউ কেউ এসে বিল বই দেখাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর