সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

দাম কেজিতে তিন টাকা কম হতাশ ১৮০০ গমচাষি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

দাম কেজিতে তিন টাকা কম হতাশ ১৮০০ গমচাষি

৩৫ টাকা দরে গম বীজ কেনার দাবিতে মানববন্ধন

চলতি বছর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজের গম ক্রয়ের মূল্য কম নির্ধারণ হওয়ায় হতাশ চুক্তিবদ্ধ ১ হাজার ৮০০ গমচাষি। দাম বৃদ্ধির দাবিতে তারা বিভিন্ন দফতরে দরখাস্ত পাঠিয়েছেন। বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষিদের কাছ থেকে প্রতিকেজি ৩৫ টাকা দরে গমের বীজ কেনার দাবিতে গতকালও মানববন্ধন করেছে চাষিরা। এর আগে ১২ জুন গম বীজের দাম পুনঃনির্ধারণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিএডিসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। চাষিদের দাবি, গত বছরের চেয়ে বাজারে এবার গমের দাম বেশি। তারপরও এবার প্রতি কেজিতে তিন টাকা কম নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর প্রতিকেজি প্রত্যায়িত ও মানঘোষিত বীজের গম ৩৫ টাকায় কিনলেও এ বছর ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষিরা লোকসানের মুখে পড়ছেন। তাদের ভাষ্য, অথচ গত বছর বাজারে কাঁচা গমের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৯ টাকা। এবার বাজারে কাঁচা গম বিক্রি হচ্ছে ২৩ টাকা দরে। ঠাকুরগাঁও বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষি ফোরামের সভাপতি কুতুব উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে গম উৎপাদনের প্রধান জেলা ঠাকুরগাঁও। এখানে তিনটি জোনের মাধ্যমে চাষিদের থেকে মানসম্মত বীজ ক্রয় করে বিএডিসি। কিন্তু বিএডিসি বিগত বছরগুলোতে গম বীজের দাম ঠিক দিলেও এবার অন্যায়ভাবে কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে দিয়েছে। এতে চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। চাষিদের কথা চিন্তা করে গম বীজের মূল্য বৃদ্ধি না করলে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।

ঠাকুরগাঁও বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এসএম এমদাদুল হক বলেন, মানসম্মত বীজ প্রক্রিয়াজাত করে ১০ থেকে সাড়ে ১০% আর্দ্রতায় নেয় বিএডিসি। এতে কমপক্ষে প্রতি কেজি ৩৩ টাকার উপরে পড়ে যায়। তিন মাস পর বীজের টাকা পায় চাষিরা। এতে ২ টাকা লাভ না পেয়ে যদি ২ টাকা লোকসান গুনতে হয় তাহলে চাষিরা কেমনে বাঁচবে। বিএডিসির ঠাকুরগাঁও কন্ট্রাক গ্রোয়ার্স জোনের উপ-পরিচালক আওলাদ হাসান সিদ্দীকী বলেন, ‘আমরা বীজ ক্রয়ের সময় চাষিদের উৎপাদন খরচ ও বাজার মূল্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠালে তারা গম বীজ ক্রয়ের মূল্য ভিত্তি বীজ ৩৮ এবং প্রত্যায়িত ও মানঘোষিত বীজ ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে। এই দর চাষিরা না মানায় দরখাস্ত দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর