ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে ভারী ও মাঝারি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সব যানবাহন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলার ভেতরের সড়ক ব্যবহার করে বিকল্প চলাচল করছে। আর লোকাল সড়কে ভারী যান ঢোকায় ওই সব সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জানা যায়, চান্দুরা-আখাউড়া সড়কটি এক বছর ধরে বেহাল। রাস্তাজুড়ে রয়েছে অসংখ্য গর্ত। বিজয়নগর উপজেলার প্রধান সড়কও এটি। এই সড়কে এখন ঢল নেমেছে হাজারো গাড়ির। সাড়ে পাঁচ মিটার প্রশস্ত ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক পাড়ি দিতে এখন লেগে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিকল্প আরো দুটি সড়ক সরাইল-নাসিরনগর হয়ে লাখাই এবং রতনপুর দিয়েও চলাচল করছে ঢাকা-সিলেট গন্তব্যের যানবাহন। নাসিরনগরের ফান্দাউক-রতনপুর সড়কে ভারী যানের চাপে কয়েক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিটি ব্রিজ ও রাস্তার পাশে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। গত মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর সেতুটির চতুর্থ স্পেনের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ে। এর পরই সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সব ধরনের ভারী ও মাঝারি যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-সিলেট সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। এরপরই বিকল্প পথ হিসেবে চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক দিয়ে ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা-সিলেট এবং চট্টগ্রামের বেশিরভাগ যান চলতে শুরু করে। বিজয়নগর বিআরডিবির চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী বাপ্পী জানান, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে তিনি বিজয়নগরের সিংগারবিল থেকে চান্দুরা রওনা হন। ১৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে তার পাঁচ ঘণ্টারও বেশি। চম্পকনগরের মোল্লারটেকে বুধবার রাতে পাথরবাহী ট্রাক উল্টে পড়ে। মোল্লারটেক এবং আড়িয়লে উল্টে যায়। আরও দুটি মালবাহী গাড়ি।