পাহাড়ে দেখা দিয়েছে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব। বিশেষ করে বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় এ রোগের ভয়াবহতা তীব্র হয়ে উঠেছে। একের পর এক আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে পাহাড়ের মানুষ। এরই মধ্যে ম্যালেরিয়া রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির কিছু উপজেলা ও ইউনিয়নে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা যায়। এ বছর বর্ষা শুরুর আগেই ম্যালেরিয়ার রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এরই মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ভুইয়াছড়ি, উজেংছড়ি, ক্যজেইছড়ি, মিতিঙ্গাছড়ি, রুইলুই, মাচালংসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাঘাইছড়ি উপজেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ ২ জন। ২০১৬ সালে রাঙামাটিতে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৬২৪ জন। ২০১৭ সালে এ রোগের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৮ হাজার ২৮৭ জন। সবশেষ ২০১৮ সালে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন হাজার ১৪ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, পাহাড়ে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর হার একেবারে কমে গেছে। তবে ম্যালেরিয়া রোগ নির্মূল করা যাচ্ছে না। রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার বলেন, জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তদের চিহ্নিত করে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা স্থাস্থ্য বিভাগ বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি ও জুড়াছড়ি উপজেলা ম্যালেরিয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ম্যালেরিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় যৌথভাবে কাজ করছে ব্রাক ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ দল। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করে দ্রুত এই রোগের প্রার্দুভাব কমানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
