শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ধরলার ভাঙনে দিশাহারা নদীপাড়ের মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ধরলার ভাঙনে দিশাহারা নদীপাড়ের মানুষ

লালমনিরহাটে ধরলার পানি কমলেও বেড়েছে ভাঙন। গত দুই দিনে (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) অন্তত ১৩টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতংকে রয়েছে আরো ৩৪ থেকে ৪০টি ঘরবাড়ি।  গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধরলার পানি বাড়লেও গতকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা। নদী ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষ। ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। ভাঙনের শিকার ওসমান আলী জানান, চারবার নদী ভাঙার পর ১০ বছর থেকে এই বাঁধে বসবাস করে আসছিলেন কিন্তু আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ায় তিনি এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। জেলার সদর উপজেলার মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী  গত দুই দিনে ১৩টি বসতবাড়ি ভাঙনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভাঙনকবলিতদের মাঝে এখনও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী  আরিফুল ইসলাম জানান, ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ধরলার পানির স্নোতে বুধবার সন্ধ্যায় কুলাঘাট ইউপির ওয়াপদা বাজার এলাকার ১৩০ ফিট পাকা সড়ক নদীগর্ভে চলে গেছে।

সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ৪টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষের সড়কপথে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

সওজের লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী নুরায়েন বলেন, সড়কটি মেরামতে অনেক শ্রমিক প্রয়োজন। কিন্তু শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কাজে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়াও এ কাজ করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।

সর্বশেষ খবর