মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

অর্থকষ্টে ১৯ হাজার জেলে পরিবার

২ মাসেও মেলেনি ত্রাণ কর্মহীন সময় কাটছে

রাঙামাটি প্রতিনিধি

অর্থকষ্টে ১৯ হাজার জেলে পরিবার

কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ। বেকার সময় কাটছে মৎস্যজীবীদের। এ সুযোগে নৌকা মেরামত করছেন এক জেলেনি

রাঙামাটি জেলার ১৯ হাজার ৪৭৩ জেলে পরিবারের সবাই কাপ্তাই হ্র্রদের ওপর নির্ভরশীল। কেউ এ হ্রদে মাছ ধরে আবার কেউ এখানে আহরিত মাছের ব্যবসা করে চালায় সংসার। এ সব পরিবারের সন্তানরাও একটু বড় হলে জড়িয়ে পড়ে বাবা-দাদার পেশায়। যে হ্রদকে ঘিরে তাদের জীবন-জীবিকা, সেখানে এখন বন্ধ মাছ শিকার। ফলে টানা তিন মাস কর্মহীন জীবন কাটছে মৎস্যজীবীদের। সংসারে বেড়েছে টানাপড়েন। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় জেলে ও শ্রমিকসহ মাছের ওপর নির্ভরশীল মানুষগুলো রয়েছে অর্থকষ্টে। হ্রদে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দরিদ্র জেলেদের ৪০ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা মেলেনি দুই মাসেও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা কাপ্তাই হ্রদের মাছের ওপর নির্ভরশীল জেলে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ মৎস্যজীবী সংখ্যা ১ লাখের অধিক। তার মধ্যে জেলে পরিবার রয়েছে প্রায় ১৯ হাজার ৪৭৩টি। এ সব পরিবার সরকারিভাবে নিবন্ধিত। বিগত বছরে হ্রদে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞাকালে ভিজিএফ কার্ডে মাধ্যমে এ সব জেলেদের ত্রাণ বিতরণ করা হতো। চলতি বছর নিষিদ্ধ সময় দুই মাস পার হলেও সরকারিভাবে ওই জেলে পরিবার কোনো ত্রাণ পায়নি বলে অভিযোগ তাদের। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে যেমন মানবেতর দিন কাটছে, তেমনি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সন্তানদের পড়ালেখা। বাকি এক মাস তারা কিভাবে কাটবেন এমন শঙ্কা জেলেদের চোখে-মুখে।

মৎস্যজীবীরা জানান, কর্ম নেই, তাই টাকাও নেই। নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে। খেয়ে, না খেয়ে দিন কাটছে। বাধ্য হয়ে জেলে পরিবারের নারী সদস্যরা অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করছে। দুর্দশার এমন চিত্র এখন রাঙামাটির আটটি উপজেলায়। রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সফি কামাল জানান, তিন মাসের জন্য মৎস্যজীবীদের কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এ তিন মাস ভিজিএফের কার্ডের মাধ্যমে তাদের ত্রাণ সহয়তা দেওয়া হয়। এ বছর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই খাদ্য শস্য বিতরণ করা হয়নি।

সর্বশেষ খবর