বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুর্ভোগে রেলের ১৩০০ পেনশনভোগী

দুই মাস ধরে ভাতা বন্ধ কষ্টে কাটছে দিন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

দুর্ভোগে রেলের ১৩০০ পেনশনভোগী

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং অফিসে পেনশনভোগীদের ভিড়। গত শনিবার তোলা ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ষাটোর্ধ্ব নুরুল ইসলাম। এসেছেন নেত্রকোনা থেকে। প্রবীণ এই ব্যক্তির চোখে-মুখে শঙ্কার ছাপ। কারণ দুই মাস ধরে মিলছে না পেনশন ভাতা। এমনকি গত ঈদুল ফিতরের বোনাসও পাননি। নুরুল ইসলামের মতোই অবস্থা ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে অবসরে যাওয়া প্রায় ১ হাজার ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর।

দুই মাস ধরে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলের পেনশনভোগীরা নিয়ম করে ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশনের বুকিং অফিসে ভিড় করছেন। সেখানেই রবিবার সকালে কথা হয় বয়সের ভারে ন্যুব্জ এ সব মানুষের সঙ্গে। তাদের সিংহভাগই ফিরে যাচ্ছেন শূন্য হাতে। জানা যায়, পেনশন ভোগীদের টাকার জোগান হয় বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট বিক্রি থেকে। কিন্তু অ্যাপস এবং এসএমএসের মাধ্যমে ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি হওয়ায় স্টেশনের আয় কমে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন পেনশনভোগীরা। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে আগামী ৬ জুলাই কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে জানিয়েছেন রেলওয়েম্যান্স অবসরপ্রাপ্ত কল্যাণ পরিষদের ময়মনসিংহ শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জংশন স্টেশনগুলো পে-কেলারের মাধ্যমে অবসর প্রাপ্তদের ভাতা পরিষদ করছে। এখানেও এ সিস্টেম চালু করা এখন সময়ের দাবি।’ প্রবীণদের এমন দুর্ভোগে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে স্টেশন কর্তৃপক্ষও।

স্টেশন সুপারেন্টেন্ডেন্ট জহুরুল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে এ স্টেশন থেকে দেড় কোটি টাকা পেনশন ভাতার চাহিদার রয়েছে। কিন্তু টিকিট বিক্রির টাকা কমে যাওয়ায় আয় হচ্ছে প্রায় ১ কোটি। ফলে আমরাও হিমশিম খাচ্ছি। সমস্যা উত্তরণে গত ২০ তারিখ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও দিয়েছি।’ প্রধান বুকিং সহকারী (ভারপ্রাপ্ত) হামিদুর রহমান জানান, অর্থের অপ্রতুলতার কারণে বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ১০ জনের চাহিদা থাকলে একজনের ভাতা পরিশোধ করতে পারছি।’

সর্বশেষ খবর