শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজৈরে শিশুকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ

প্রতিদিন ডেস্ক

রাজৈরে শিশুকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পূর্ব সরমঙ্গল এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত নুর হোসেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজৈর থানার পূর্ব সরমঙ্গল গ্রামের নুর হোসেন (৫৫) মেয়েটিকে একটি গ্যারেজে নিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। স্থানীয় এক নারী শিশুটিকে মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখে ফেললে বিষয়টি জানাজানি হয়। শিশুটির মা কিছুদিন আগে মারা গেছে। শিশুটির বাবা বলেন, আমার মেয়ের মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। শিশুটি জানায়, ওই সময় বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টির মধ্যেই ভ্যানের গ্যারেজে নিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। কারো কাছে না বলার জন্য হুমকিও দিয়েছে। রাজৈর থানার ওসি জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। শিশুটির পরিবারের লোক এলে মামলা নেওয়া হবে। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ জানান, শিশুটির পরিবার মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিংড়ায় বৃদ্ধকে গণপিটুনি : নাটোর প্রতিনিধি জানান, সিংড়া উপজেলায় ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ওই বৃদ্ধকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় সিংড়া থানায় মামলা হয়েছে। কেন্দুয়ায় শিক্ষককে পুলিশে দিল জনতা : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে আবুল খায়ের বেলাল (৩৫) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। উপজেলার পৌর এলাকার বাদে আঠারবাড়ি মা হাওয়া (আ.) কওমী মহিলা মাদ্রাসায় গতকাল এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার এক শিশু ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের বেলাল তার নিজ কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি চিৎকার শুরু করলে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসে। আশপাশের লোকজন বিষয়টি শুনে শিক্ষককে মারধর শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তকে তাদের হাতে তুলে দেয়। কেন্দুয়া থানার ওসি জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বরগুনায় ছাত্র নির্যাতিত : বরগুনায় মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ফাহাদ (১০) নামের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষক হাফেজ মো. হাসান শিশুটিকে মেরে ফেলানোর ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত শিশুটির উপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। শুক্রবার সকালে শিশুটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিস্তারিত জানায়। এরপর শিশুটির মা-বাবা মাদ্রাসায় গেলে শিক্ষক হাফেজ মো. হাসান পালিয়ে যায়। শিশুটির মা জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ফাহাদের উপরে যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিল হাসান। শুক্রবার সকালে আমার ছেলে বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তার কাছে কারণ জানতে চাইলে সে আমাকে সবকিছু খুলে বলে।

পরে স্থানীয়দের নিয়ে কেওড়াবুনিয়া হরিদ্রাবাড়িয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় গেলে শিক্ষক হাসান আমাদের উপস্থিতি টের পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসনকে জানাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর