সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা, এলাকায় মাইকিং

বান্দরবান প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা, এলাকায় মাইকিং

দুই দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসের পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্ল­াবিত হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন ও স্থানীয়রা। এদিকে গতকাল পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম, থানচি, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। এরমধ্যে সদর ও লামা উপজেলায় বসবাসকারীরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুমে উন্নয়নের নামে পাহাড় কেটে বিভিন্ন এলাকার সড়কে সৃষ্ট গর্ত ভরাটসহ নতুন সড়কে মাটি দেওয়া হয়। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে ঘরের উপর পড়ে। ফলে মাটিচাপায় প্রাণহানি ঘটে অনেকের। লামার ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ‘ঝুঁকিতে থাকা বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। কোথাও পাহাড় ধস, হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।’ বান্দরবান সদর উপজেলার বালাঘাটা, কালাঘাটা, কাসেমপাড়া, ইসলামপুর, বনরূপা পাড়া, হাফেজঘোনা, বাস স্টেশন, স্টেডিয়াম এলাকা, লাঙ্গিপাড়া, নোয়াপাড়া, কসাইপাড়া, রুমা উপজেলার হোস্টেলপাড়া, রনিনপাড়া, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তরপাড়া, বাইশফাঁড়ি, আমতলী, রেজু, তুমব্রুসহ সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে তুলেছে প্রায় ৩৪ হাজারের বেশি পরিবার। চলতি বছরেও গড়ে উঠেছে আরও নতুন নতুন বসতি। ফলে গত বছরের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা আরও বেড়েছে।

২০০৬ সালে জেলা সদরে তিনজন, ২০০৯ সালে লামায় ১০, ২০১০ সালে নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫, ২০১১ সালে রোয়াংছড়িতে ২, ২০১২ সালে লামায় ২৮ ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ১০, ২০১৫ সালে লামায় ৪, সিদ্দিকনগরে ১, সদরের বনরূপায় ২ এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালে সদরের কালাঘাটায় ৭ ও রুমা সড়কে পাঁচজন পাহাড় ধসে মারা গেছেন। বান্দরবান জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম জানান বলেন, ‘বৃষ্টি শুরুর পর রবিবার সকাল থেকে উপজেলার প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সবাইকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রত্যেক উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর