শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতায় অনাবাদি কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি

নওগাঁ প্রতিনিধি

জলাবদ্ধতায় অনাবাদি কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি

নওগাঁর বদলগাছীতে পানি নিষ্কাশনের একটি খালের অভাবে জলাবদ্ধতায় কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য একটি খাল খনন করা হলে জমিগুলোতে তিনটি ফসল আবাদ সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা। তাতে এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলেও দাবি তাদের।

জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের কুশারমুড়ী মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল। মাঠের পানি ওই ড্রেন দিয়ে বের হয়ে খলসি ও নিহনপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে মাগুরা বিলে চলে যেত। তখন ওই মাঠের চাঁনপুর, মির্জাপুর, দোনইল, খলসি, পাইকপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বিঘা জমি আবাদে কোনো সমস্যা হতো না। ১৫-২০ বছর আগে মাগুরা গ্রামের শেষ প্রান্তে ওই ড্রেনের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট করে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করা হয়। এতে কুশারমুড়ী মাঠের পানি বের হয়ে খলসি গ্রাম পর্যন্ত যেতে পারলেও বিলে যেতে পারে না। পানি বের হওয়ার বিকল্প পথ না থাকায় মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায় কুশারমুড়ী মাঠের বোরো, আমন ও পাট। এভাবে কৃষকরা প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে প্রথমে আমন আবাদ ছেড়ে দেন। একই কারণে পরবর্তীতে বন্ধ হয় পাটের আবাদও। এখন ওই মাঠে শুধু বোরো আবাদ হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলে বোরো খেতও হাঁটু পানিতে তালিয়ে যায়। পানি জমে থাকায় অনেক জমিতে কচুরিপানার স্তূপ জমেছে। কুশারমুড়ী গ্রামের কৃষক মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে বোরো ছাড়া অন্য ফসল আবাদ করা সম্ভব হয় না।’ একই গ্রামের কৃষক আহাদ আলী বলেন, ‘খাল খনন করা হলে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক উপকৃত হবেন।’

বদলগাছীর ইউএনও মাসুম আলী বেগ বলেন, ‘মাঠটি পরিদর্শন করে স্থানীয় এবং সরকারি সহযোগিতায় প্রকল্পের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর