সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

৩২ পদের ২৮টিই শূন্য

নাভারণ বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বেনাপোল প্রতিনিধি

জনবলের অভাবে যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার, এনেসথিয়া, গাইনি, সার্জারি, চক্ষু ও শিশুসহ কোনো কনসালটেনন্ট নেই। ৩২ জন চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছেন মাত্র চারজন। এর মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারির ১১৯টি পদের মধ্যে ৬৫টি খালি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অশোক কুমার সাহা বলেন, ‘হাসপাতালে ৩২টি ডাক্তারের পদ থাকলেও এখানে মাত্র চারজন কর্মরত আছেন। এক্স-রে মেশিনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অচিরেই মেরামত হবে। হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ মানুষ যাতে সর্বোচ্চ সেবা পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। জানা যায়, প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের এই জনপদে একমাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ৫০ শয্যার নাভারন বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কয়েক হাজার শ্রমিক মালামাল লোড-আনলোডের কাজ করে বেনাপোল বন্দরে। এ কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই তারা আহত হন। নাভারন বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার না থাকায় রোগী নিয়ে যেতে হয় প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে। জানা যায়, ২০১৮ সালে এ হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ উন্নীত করা হলেও এখনও নতুন করে কোনো ডাক্তার বা জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। বহির্বিভাগে প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে টিকিটের জন্য ৫ টাকা আদায় করা হলেও তারা কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ১০টার আগে কোনো চিকিৎসক হাসপাতালে আসেন না। আবার বেলা ১টা বাজলে কোনো ডাক্তারকে হাসপাতালে পাওয়া যায় না। দূর-দূরন্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ডাক্তার না পেয়ে চলে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিকল রয়েছে এক্স-রে ও ইসিজি মেশিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর