লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা চারটি ইউনিয়নে গতকাল ভোর রাতে আঘাত হেনেছে টর্নেডো। এতে পাঁচ শতাধিক কাঁচা-আধপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে মারা গেছেন আলেজা বেগম (৫০) নামে এক নারী। আলেজা উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের শৌলমারী গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম হয়ে টর্নেডো একে একে পাটগ্রাম, বুড়িমারী ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নে আঘাত হানে। এতে বহু বাড়িঘর ও গাছপালা উপড়ে যায়। এদিকে শনিবার রাতে জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়কের উপর কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিধ্বস্ত হয়েছে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। ঝড়ের পর কয়েক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। রবিবার সকাল থেকে মহাসড়কের উপর পড়ে থাকা গাছ কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। আটোয়ারী উপজেলার ঢাংগী উচ্চ বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ভেঙে পড়েছে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে বোদা ও আটোয়ারী উপজেলায়। জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। এদিকে টানা বর্ষণের ফলে পঞ্চগড়ের নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলাবাসী। পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও নেটওয়ার্ক না থাকায় আমরা এখনো পানিবন্দী ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা হাতে পাইনি। পাঁচ উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।