মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

০০৭-এর সদস্য হতে লাগে তিন পরীক্ষা!

বরগুনা প্রতিনিধি

‘বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যার অন্যতম কারণ মাদক ও ০০৭ কিশোর গ্যাং বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২৬০ জন। তিনটি পরীক্ষায় পাস করে ০০৭ কিশোর গ্যাং বাহিনীর সদস্য হতে হয়। প্রথমত, অবশ্যই তাকে মাদকসেবী হতে হবে। দ্বিতীয়ত মাদক ব্যবসায় যুক্ত হতে হবে। তৃতীয়ত এ বাহিনীর সদস্য হিসেবে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লুটপাট, অপহরণ ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে কর্মকান্ডে অংশ নিতে হবে। এছাড়া বরগুনায় টিম ৬১, লারেলাপ্পা, হানীবন্ডসহ বিভিন্ন নামে একাধিক কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। সব মিলিয়ে এদের সদস্য সংখ্যা হবে সহস্রাধিক। এই কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের বয়স ১২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।’ বরগুনাকে মাদকমুক্ত করার দাবিতে গতকাল জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা এ কথা বলেন। বরগুনা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির নেতৃত্বে জেলা মহিলা পরিষদ, সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক, পরিবেশ আন্দোলন, বরগুনা রোভার, আলোকযাত্রা ও লোকবেতার এ কর্মসূচি আয়োজন করে। বক্তৃতা করেন- অ্যাড. আনিসুর রহমান, মনির হোসেন কামাল, চিত্তরঞ্জন শীল, নাজমা বেগম, হোসনেয়ারা চম্পা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বরগুনায় সড়ক পথ ছাড়াও বঙ্গোপসাগর হয়ে নৌপথে মাদকের বড় বড় চালান আসে। চলতি বছরের ২ এপ্রিল বরগুনা থেকে ছেড়ে যাওয়া সপ্তবর্না লঞ্চ থেকে ঢাকা সদরঘাটে এবং আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ করে র‌্যাব। এ সময় যে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল-তাদের দুজনের বাড়ি বরগুনায়। এখানে অনেক ভূমিহীন পরিবারের সন্তান আছে, যারা দামি মোটরসাইকেল চালায় এবং ৫০/৬০ হাজার টাকা দামের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে। মানববন্ধন শেষে ৭ দফা দাবিতে বরগুনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

দাবিগুলো হচ্ছে- বরগুনায় মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদারদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, সড়ক ও নৌপথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের জন্য অত্যাধুনিক জলযানসহ সি-প্লেনের ব্যবস্থা, বরগুনায় একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র করা, সন্ধ্যার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান ও কোচিং বন্ধ রাখা, মাদক উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা ও রিফাতসহ বরগুনার সব হত্যাকান্ডের এবং মাদক ব্যসায়ীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা।

সর্বশেষ খবর